প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক ড. ওকনজো ইওয়েলা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর আবাসস্থলে সাক্ষাত করেছেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডব্লিউটিও’র মহাপরিচালক মৎস খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। 

ডব্লিউটিও’র মহাপরিচালক বলেন, তারা এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ মৎস চাষে বড় ধরনের ভর্তুকি দেয় না। খবর- বাসস

তিনি জানান, ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ডব্লিউটিও’র বিরোধ নিষ্পত্তি সংস্থার কথা উল্লেখ করেন। এটি কতিপয় বড় দেশের ক্ষেত্রে কয়েক বছর ধরে নিষ্ক্রিয় রয়েছে।

ড. ওকনজো ইওয়েলা সেপ্টেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে কথা বলার সময় এই বিষয়টি তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান যাতে এই বিরোধ নিষ্পত্তি সংস্থা সক্রিয় হয়। তিনি বলেন, ‘এটি ডব্লিউটিও’র মূল শক্তি।’

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবুধাবিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের ১৩তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নীতকরণ নিশ্চিত করা হবে।

ডব্লিউটিও মহাপরিচালক বাংলাদেশকে রপ্তানির ডালা বৈচিত্র্যময় করতে বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি চান যে, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভরতা কমাতে ওষুধ ও আইটি খাতের ওপর বেশি জোর দিক।

গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতার অভাব রয়েছে। সে কারণে তিনি জাপান, থাইল্যান্ড ও মালদ্বীপ থেকে বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা নেওয়ার ওপর জোর দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যে মালদ্বীপ ও জাপানের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এর আগে একই স্থানে কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সামিক আল মারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। শ্রমমন্ত্রী বলেন, তার দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি জনশক্তি কাজ করছে। এসব শ্রমিকের কর্মক্ষমতা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নিতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এজন্য তারা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।