১৬ মাস কারাভোগের পরও শ্বশুর-শাশুড়ির ইয়াবা সিন্ডিকেটে রবিন

গ্রেপ্তার রবিন
বকুল আহমেদ
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:২৮ | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:৩৩
এবার ৭ হাজার ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মহানগর উত্তরের একটি টিমের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রবিন।
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএনসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিন ইয়াবা বিক্রির জন্য ঢাকার তিন এলাকায় তিনটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে রেখেছেন। একেক সময় একেক ফ্ল্যাটে কক্সবাজার থেকে আনা ইয়াবা মজুত করেন। কক্সবাজার থেকে তার শাশুড়ি বহনকারীর মাধ্যমে ইয়াবা জামাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। বহনকারী বেশিরভাগক্ষেত্রে বিমানে ইয়াবা ঢাকায় আনেন। এরপর তিনি রবিনের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দেন। রবিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এসব ইয়াবা পাইকারি বিক্রি করেন।
রবিনের শ্বশুর নুরুল হুদাও ইয়াবা কারবারি। ইয়াবা তাদের পারিবারিক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নুরুল হুদার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া থানার খুটাখালী গ্রামে। তবে কখনও ঢাকায়, কখনও গ্রামে থাকেন তিনি।
জানা যায়, রবিন এক সময় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ছিটকাপড়ের ব্যবসা করতেন। ২০২০ সালের আগস্টে নুরুল হুদা ও আরাফা আক্তার দম্পতির মেয়ের সঙ্গে রবিনের বিয়ে হয়। এরই মধ্যে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ছিটকাপড়ের ব্যবসা বন্ধ করে দেন রবিন। এরপর শ্বশুর-শাশুড়ির ইয়াবা সিন্ডিকেটে যুক্ত হন তিনি।
পল্লবী থানাধীন আলাদ্বির টেক এলাকায় ভাড়া ফ্ল্যাটে রবিন ইয়াবা মজুত রেখেছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর উত্তরের উত্তরা সার্কেল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উত্তরা সার্কেলের পরিদর্শক মাহাবুর রহমান বলেন, আজ দুপুরে রবিনকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ডিএনসির সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান সমকালকে বলেন, রবিন শ্বশুর-শাশুড়ির ইয়াবা সিন্ডিকেটে জড়িত। ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর রবিন ও তার শাশুড়ি ইয়াবা ও আইসসহ ডিএনসির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বেরিয়ে আবার ইয়াবা কারবার শুরু করেন তারা।