এমভি আবদুল্লাহকে যেভাবে পাহারা দিচ্ছে ২ যুদ্ধজাহাজ

ছবি- ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনীর অপারেশন আটলান্টার ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮:০৪ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮:০৬
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। বাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিরাপত্তা দিয়ে নিরাপদ জলসীমায় নিয়ে আসছে।
সোমবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দেওয়ার ৩টি ছবি প্রকাশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ছবিতে দেখা যায়, নীল জলরাশিতে এগিয়ে চলছে এমভি আবদুল্লাহ। এর দুই পাশে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। এ সময় তিনটি দ্রুতগতির নৌযানকেও আশেপাশে টহল দিতে দেখা যায়।
এর আগে মুক্তিপণ দিয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটে জলদস্যুদের কাছ থেকে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ ক্রু মুক্তি পান। জাহাজটির গন্তব্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দর। ২১ এপ্রিল জাহাজটি সেখানে পৌঁছাতে পারে বলে কেএসআরএম গ্রুপ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, জলদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া জাহাজটিতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর জাহাজ পাহারা দিচ্ছে। এ ছাড়া আবার সোমালিয়া উপকূলে দস্যুতাবিরোধী যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে, তা জানানোর জন্যও তারা এমন পদক্ষেপ নেয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর অপারেশন আটলান্টার আওতায় সোমালিয়া উপকূল, এডেন, আকাবা, সুয়েজ, লোহিত সাগর ও আশপাশের এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জাহাজ নিরাপত্তা দেওয়া এবং জলদস্যুতাবিরোধী কার্যক্রম তদারকি করা তাদের মূল উদ্দেশ্য।
গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি শনিবার দিবাগত রাতে ছাড়া পায়। জিম্মি করার ৩২ দিন পর জাহাজটি মুক্তি পেল।
এর আগে ২০১০ সালে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। সেবার জাহাজটি উদ্ধার করতে ৯৯ দিন সময় লেগেছিল।