ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা তরুণী ‘ডাক্তারি পরীক্ষায় রাজি নন’

বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা তরুণী ‘ডাক্তারি পরীক্ষায় রাজি নন’

গোলাম কিবরিয়া বড় মনি- ফাইল ছবি

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২১:১৯ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২১:৩৭

টাঙ্গাইল-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির বড় ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা সেই তরুণী হঠাৎ ‘ইউটার্ন’ নিয়েছেন। তিনি ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে সম্মতি দেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এমনকি ওই তরুণী মামলা চালাতে রাজি নন বলেও পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মো. শাহজাহান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই তরুণী মামলা চালাবেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। এমনকি বারবার অনুরোধের পরও ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। বড় মনি পলাতক রয়েছেন।

গত ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে বড় মনির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। অস্ত্রের মুখে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এ কল পেয়ে ঢাকার অদূরে তুরাগ থানা এলাকার সিটি আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত বড় মনিকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তাকে ওই পদ থেকে চূড়ান্ত অব্যহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এর আগে গত বছরের ৫ এপ্রিল এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে বড় মনির বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা হয়েছিল। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই ছাত্রী রাজধানীর দক্ষিণখানে তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। তার স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। মাস দুয়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে বড় মনির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে তাদের কথা হতো। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারেন, দু’জনের বাড়িই টাঙ্গাইলে। কলেজছাত্রীকে ‘বোন’ বলে সম্বোধন করতেন বড় মনি।

ঘটনার দিন উত্তরার মাসকট প্লাজার কাছাকাছি গিয়ে বড় মনি ফোন করে ওই ছাত্রীকে দেখা করার জন্য ডাকেন। ডাকে সাড়া দিয়ে মাসকট প্লাজার পেছনে বড় মনির সঙ্গে দেখা করেন ওই ছাত্রী। সর্বশেষ শুক্রবার মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠিয়ে ওই তরুণীকে জমজম টাওয়ারের কাছাকাছি একটি শোরুমের সামনে আসতে বলেন বড় মনি। রাত ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে জমজম টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে তাকে রিকশায় উঠিয়ে তুরাগ থানার প্রিয়াঙ্কা সিটির ৬ নম্বর সড়কের একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই বাসার তৃতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে বড় মনি ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন এবং বাসার নিচে রেখে চলে যান। এরপর ওই ছাত্রী তার বাবাকে ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। বাবা আসার পর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশি সহায়তা চান ভুক্তভোগী। মধ্যরাতে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন

×