ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

দ্রুত পণ্য খালাস আইন বাতিলের দাবিতে শাহজালালে বিক্ষোভ

ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোশিয়েশন 

দ্রুত পণ্য খালাস আইন বাতিলের দাবিতে শাহজালালে বিক্ষোভ

ঢাকা কাস্টমস হাউসের কুরিয়ার গেটের সামনে বিক্ষোভ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪ | ২০:৫৯ | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ | ২১:১৫

দ্রুত পণ্য খালাসের নামে সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পাস করা নতুন আইন ও নীতিমালা বাতিলের দাবিতে বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টমস হাউসের কুরিয়ার গেটের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কুরিয়ার শাখা থেকে পণ্য খালাসে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন কাস্টমস কর্মকর্তা ও যাত্রীরা। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি কুরিয়ার শাখা থেকে দ্রুত পণ্য খালাসে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়াডিং অ্যাসোসিশনের (বাফা) নেতা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যোগসাজসে নতুন একটি আইন পাস হয়। এই আইনটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মচারী সদস্য বেকার হয়ে পড়বে। আইনটি বাতিলের জন্য এরই মধ্যে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন করা হয়েছে। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা কাস্টমস্‌ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম। তারা হুমকি দিয়ে বলেন, কুরিয়ার শাখা থেকে দ্রুত পণ্য খালাসের নামে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তৈরি করা আইন বাতিল না হলে লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। 

ঢাকা কাস্টমস হাউসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে জানান, বিদেশ থেকে আমদানি ছোট ছোট পণ্যের চালান কুরিয়ার শাখা থেকে দ্রুত খালাস করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক একটি আইন পাস করা হয়। ৬ জুন আইনটি পাস হয়েছে। এসব আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে ডকুমেন্ট, নমুনা, বিজ্ঞাপন সামগ্রী, উপহার সামগ্রী। ১ থেকে ৫ কেজি ওজনের এসব পণ্য কুরিয়ার কর্তৃক দ্রুত খালাস করা হবে। আর ৩০ কেজি ওজনের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ঢাকা কাষ্টমস্‌ এজেন্টস্‌ অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক খালাস করা হবে। বিদেশ থেকে আসা ছোটখাটো এসব পণ্য ছাড়াতে নানা হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা। এই হয়রানি বন্ধে ছোট ছোট ওজনের পণ্যগুলো কুরিয়ার শাখা কর্তৃক দ্রুত খালাস করতে আইনটি পাস করে সরকার। এ আইনটি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। 
 

আরও পড়ুন

×