অ্যামনেস্টির বিবৃতি
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে

ফাইল ফটো
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪ | ০০:৩৭
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর আইনবহির্ভূতভাবে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার করেছে বলে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে সহিংসতার তিনটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে তারা এর প্রমাণ পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলেছে, আন্দোলনসহিংসতার প্রেক্ষাপটে কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এর মধ্যে যেসব ভিডিও এবং আলোকচিত্র পাওয়া যায় সেগুলো যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উদ্ভূত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে। অ্যামনেস্টি এবং এর ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাব বিক্ষোভ দমনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইনবহির্ভূতভাবে প্রাণঘাতী ও কম প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের তিনটি ঘটনার ভিডিও যাচাই করেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডেপরোসে মুচেনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা ভিডিও এবং আলোকচিত্র অব্যাহতভাবে যাচাই করে ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। অ্যামনেস্টি বাংলাদেশ সরকার ও এর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর প্রতি বিক্ষোভের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সহিংস দমনাভিযান এবং যোগাযোগব্যবস্থার ওপর সব ধরনের বিধিনিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে।
ঢাকার সাভার, বাড্ডা ও রামপুরা এলাকায় সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে ধারণ করা তিনটি ভিডিও যাচাই করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা বলেছে, সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যথাযথ উপায় নয়। আগ্নেয়াস্ত্র শুধু তখনই ব্যবহার করা যাবে, যখন মৃত্যু ঘটতে পারে বা গুরুতর আহত হওয়ার মতো হুমকি মোকাবিলার প্রয়োজন হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে অ্যামনেস্টি। সেই সঙ্গে সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পুনর্বাসন করার দাবি জানানো হয়েছে।
অ্যামনেস্টি বলেছে, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবিলম্বে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ বাতিল করতে হবে। দেশজুড়ে পুরোপুরি ইন্টারনেট সেবা চালু এবং রাস্তা থেকে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী তুলে নিতে হবে। বিবৃতিতে গণমাধ্যমের বরাতে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে আন্দোলনে প্রায় ২০০ জন নিহত, ২৫০০ জন গ্রেপ্তার এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬১ হাজার জনকে।
- বিষয় :
- অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
- বিবৃতি