কর্মশালায় বক্তারা
দুর্যোগে ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বীমা

ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০১:১০
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা দুর্যোগে বছরে কয়েক দফা ক্ষতির মুখে পড়তে হয় উপকূলবাসীকে। আর এতে সবচেয়ে বড় শিকার কৃষক। বন্যা, লবণাক্ততা, নদীভাঙন, উষ্ণতা, ঘূর্ণিঝড়ে কৃষক আরও দরিদ্র হয়ে পড়েন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির আর্থিক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বীমা। কৃষকসহ প্রান্তিক মানুষের জন্য বীমা সহজলভ্য করা প্রয়োজন।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে পুলা অ্যাডভাইজারসের আয়োজনে ‘উপকূলীয় এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ঝুঁকির বীমা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় পুলা অ্যাডভাইজারস জলবায়ু ঝুঁকি স্থানান্তরের সেবা উদ্ভাবন করেছে। এ বিষয়ে তিন বছরের পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে সম্ভাবতা যাচাই হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
কর্মশালায় মূল প্রতিবেদনে পুলা অ্যাডভাইজারসের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাকির বায়েজিদ বলেন, এটি সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক কৃষি বীমা ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠানটি দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষকে নিত্য-নতুন উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা দিচ্ছে।
কর্মশালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্রধান সমস্যা হলো বীমার ব্যাপারে মানুষের আস্থা অত্যন্ত কম। অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক শাহ আলম বলেন, পুলা অ্যাডভাইজারসের তিন বছরের পাইলট প্রকল্পের প্রথম বছর সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম ভর্তুকি থাকবে। বাংলাদেশ সরকার পরবর্তী দুই বছর এ প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির চিফ ফ্যাকাল্টি মেম্বার এস এম ইব্রাহিম হোসেন ও সুইস কন্ট্যাক্টের ডেপুটি হেড অব বিএমএমডিপি নব নাশিত তারিক।