গাছে পেরেক ঠোকা বন্ধে হবে নতুন আইন: পরিবেশ উপদেষ্টা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে গাছের পেরেক অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ | ০৪:০৪
রাজধানীতে বিভিন্ন গাছ ভরে গেছে পেরেক ঠুকে টাঙানো ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টারসহ নানা রকম বিজ্ঞাপনে। বিশেষ করে সড়কের পাশের গাছগুলো এক শ্রেণির মানুষের অসচেতনতার কারণে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞাপনদাতাদের নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছে। গাছে পেরেক ঠুকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার লাগানোর ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। ফলে সড়কের পাশের গাছগুলো পড়েছে ঝুঁকির মুখে।
বৃক্ষপ্রেমীরা বলছেন, গাছে পেরেক মারা নিষ্ঠুরতার শামিল। এমন পরিস্থিতিতে গাছ সুরক্ষায় নতুন আইন তৈরির কথা বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আইনে গাছে পেরেক লাগানো বন্ধে বিশেষ বিধান রাখার কথা বলেছেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকার ধানমন্ডির আবাহনী মাঠসংলগ্ন এলাকায় গাছের পেরেক অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করে তিনি এ কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘গাছ অক্সিজেন সরবরাহ করে। গাছে পেরেক ঠুকলে তা গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং ধীরে ধীরে গাছ মারা যায়। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই গাছে পেরেক ঠোকা বন্ধ করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আইন কার্যকর হলে কেউ এ কাজ করলে শাস্তির মুখোমুখি হবে।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ বলেন, গাছেরও প্রাণ আছে, এটা আমরা কেউ অনুভব করছি না। শহরের অধিকাংশ গাছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন টাঙানোয় সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার। যেসব প্রতিষ্ঠান গাছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন লাগাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। সেই সঙ্গে উচিত গাছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া নিষিদ্ধ করা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহমিদা খানম বলেন, গাছে পেরেক মারলে সেখানে মরিচার সৃষ্টি হয়। এর মাধ্যমে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া ঢুকে গাছের নানা অসুখ তৈরি করে। গাছের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়, ঝড়-বৃষ্টিতে সহজেই গাছ ভেঙে যায়।
- বিষয় :
- গাছ
- পরিবেশ উপদেষ্টা
- রিজওয়ানা