ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ সংশোধনে আইনি নোটিশ, বার সভাপতির উষ্মা

বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ সংশোধনে আইনি নোটিশ, বার সভাপতির উষ্মা

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ১১:২৫

বিচারক নিয়োগে জারি করা ‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর চারটি ধারা সংশোধনের জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এসব ধারায় কাউন্সিল গঠন, কাউন্সিলের সচিব, কাউন্সিলের ক্ষমা ও কাজ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগের সুপারিশ সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন খোকন সরকারের পক্ষে আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিন দিনের মধ্যে ওই চারটি ধারা সংশোধন বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।

নোটিশের বিষয়ে আইনজীবী আজমল হোসেন বলেন, অধ্যাদেশ অনুযায়ী কাউন্সিলে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে দু’ভাগে দু’জন বিচারক থাকবেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। আর রেজিস্ট্রার জেনারেলকে করা হয়েছে সদস্য সচিব। সেখানে স্বার্থের সংঘাত রয়েছে। এ ছাড়া বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫। এতে অনেক যোগ্য লোক বঞ্চিত হবেন। তাই অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে।

বার সভাপতির উষ্মা
সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশটি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন। গতকাল তিনি বলেন, এই অধ্যাদেশ আইনজীবী সমাজকে হতাশ করেছে। এখানে আইনজীবীর কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। অথচ অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এটা বৈষম্যমূলক। এই অধ্যাদেশ সংশোধন করতে হবে।  

গত মঙ্গলবার অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কাউন্সিল গঠিত হবে। ওই কাউন্সিল যাচাই-বাছাই করে বিচারক নিয়োগের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। তবে রাষ্ট্রপতি চাইলে কারণ উল্লেখ করে কাউন্সিলের সেই সুপারিশ থেকে কারও নাম ফেরত পাঠাতে পারবেন।

আরও পড়ুন

×