ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনসার সদস্যদের গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা: অতিরিক্ত মহাপরিচালক

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনসার সদস্যদের গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা: অতিরিক্ত মহাপরিচালক

আইডিইবি ভবন চত্বরে পায়রা উড়িয়ে ঢাকা জেলা সমাবেশ উদ্বোধন করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ

সমকাল প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২১:৫৯

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ বলেছেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় কোনো কিছু ঘটলে সবার আগে আনসার বাহিনী জানতে পারেন। তাদের ফোর্স প্রতিটি গ্রামে, পাড়া-মহলায় রয়েছে। দেশের কোথাও অপরাধ সংঘটন হলে, তা দ্রুত জানাতে পারে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনসার বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা রাখতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আনসার সদস্যদের কোনো গাফিলতে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইল আইডিইবি ভবনের কাউন্সিল হলে আনসার বাহিনীর ঢাকা জেলা সমাবেশ-২০২৫ এ প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, সর্তক থাকার পরও যদি দু-একটি অপরাধ সংঘটন হয়, সেটা সবাই (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) মিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আনসার বাহিনী বদ্ধপরিকর। আনসার বাহিনী দেশজুড়ে বিস্তৃত। আমরাই পারি সোনার বাংলা গড়ে তুলতে। আনসার বাহিনীর প্রতিটি সদস্য সর্বত্র আনুগত্য, সুশৃঙ্খল ও পরিশ্রমীর জন্য প্রশংসিত হয়ে আসছেন। 

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর দেশের ভঙ্গুর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আনসার সদস্যরা বুক চেতিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় দেশের সাধারণ মানুষসহ পুলিশের থানার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রেখেছেন। সর্বোপরি রাষ্ট্রকে বিপর্যায়ের হাত থেকে রক্ষা করেছে।

ফিদা মাহমুদ বলেন, আশার সংবাদ হলো এখন পর্যন্ত যেসব দেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো নিজেদের নিরাপত্তায় আনসার বাহিনীর গার্ড নিয়েছে। তারাও প্রশংসা করেছেন। আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত জনশক্তি নিতে আগ্রহী। আমরা বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে এখন সেই প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরিতে কাজ শুরু করেছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)-সহ বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আনসার বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এসব প্রশিক্ষনার্থীরা বৈদেশিক কর্মসংস্থানেও ভূমিকা রাখতে পারবে।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের বিশাল নেটওয়ার্ককে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। আমার দায়িত্ব আমার চেয়ে আর কেউ ভালো বোঝে না, এটা মাথায় রেখেই কাজ করবেন। এখন থেকে মাথা উঁচু করে কাজ করবেন, বুক ফুলিয়ে কাজ করবেন। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ। এ সময় জেলা সমাবেশ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিচালক আশরাফুল আলম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আরিফ হোসেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলী, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রফিউল আলম ও ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক নুরুল আবছার।
 

আরও পড়ুন

×