ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সমকালে সংবাদ প্রকাশ

ওমরাহ যাত্রীদের অর্থ আত্মসাৎকারী হোতার স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার আরও ২

ওমরাহ যাত্রীদের অর্থ আত্মসাৎকারী হোতার স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার আরও ২

প্রতীকী ছবি

সমকাল প্র‌তি‌বেদক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫ | ১৬:৩৬ | আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫ | ১৭:৪৫

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের ভেতরে ‘বার্ডস আই হেলিকপ্টার অ্যান্ড হজ কাফেলা সার্ভিসেস’ নামে এজেন্সি খুলে ওমরাহ যাত্রীদের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এ মামলায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মামলা দায়েরের ৬ দিন পার হলেও অর্থ আত্মসাতের মূলহোতা রাজীব মাহমুদকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

বুধবার রাতে গ্রেপ্তার দু’জন হলেন- এজেন্সির মালিক ও মূলহোতা রাজীব মাহমুদের স্ত্রী নীলা আক্তার এবং রুমিং ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনিরুজ্জামান।

মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সমকাল পত্রিকায় ‘বিমানবন্দরে অফিস দেখে মনে হয়নি রাজীব বাটপার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। টনক নড়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশের। পরে অভিযান চালিয়ে রাজধানী ও গাজীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বিমানবন্দর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম সমকালকে বলেন, গতকাল বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে এস এম মনিরুজ্জামান ও গাজীপুর এলাকায় থেকে নীলা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নীলা আক্তার ও মনিরুজ্জামান দুই শতাধিক ওমরাহ যাত্রীর কাছ থেকে ৫ কোটি আত্মসাতের তথ্য পুলিশকে জানিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে তাদের দেওয়া সকল তথ্য এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। মূলহোতা রাজীব মাহমুদসহ জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ‘বার্ডস আই হেলিকপ্টার অ্যান্ড হজ কাফেলা সার্ভিসেস’র মালিক রাজীব মাহমুদকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন দুই শতাধিক ওমরাহ যাত্রী। এ ঘটনায় এজেন্সির মালিক রাজীব মাহমুদ ও তার স্ত্রী নীলা আক্তারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়। গত ১ মার্চ ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো. আশরাফুল আলম বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে ওই অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে। মূলহোতা রাজীব মাহমুদসহ জড়িত অন্য আসামিরা এখনও পলাতক রয়েছেন।

আরও পড়ুন

×