ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ

ফাইল ছবি
ডা. মো. নাহিদ হোসেন
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৩:০৮
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হলে এ রোগের চিকিৎসা করা সহজে সম্ভব হয়। পাশাপাশি এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনাও অনেকাংশে বেড়ে যায়। ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গের ব্যাপারে সবাই একটু সচেতন হলে এর চিকিৎসা অনেক সহজ হয়ে যায়। ক্যান্সারের সাধারণত যেসব উপসর্গ আছে, সেগুলোর ব্যাপারে বেশির ভাগ মানুষই সচেতন নন, এমনকি অবগতও নন।
অনেক সময় দেখা যায়, একজন ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্যান্সার ধরা পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ রোগের প্রাথমিক উপসর্গ আগেই দেখা দিয়েছিল, কিন্তু তিনি সেগুলো গুরুত্ব দেননি। পরে দেখা গেল, ক্যান্সার ইতোমধ্যে তাঁর শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তখন আর রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সুতরাং এসব প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
গলাব্যথা (চিকিৎসার পরও ভালো হচ্ছে না), গলার স্বর পরিবর্তন হওয়া।
কোনো অস্বাভাবিক রক্তপাত (টয়লেটের সঙ্গে, বমির সঙ্গে, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত)।
শরীরের যে কোনো জায়গায় ব্যথা বা ফোলা।
প্রস্রাব বা পায়খানার পরিবর্তন।
দীর্ঘমেয়াদি কাশি (দুই-তিন সপ্তাহ কাশি, যা চিকিৎসার পরও ভালো হয় না)।
খাবার হজমে সমস্যা বা খাবার গিলতে সমস্যা হয়।
শরীরে যদি কোনো তিল বা ক্ষত হঠাৎ করে পরিবর্তন হয়ে যায়।
অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস।
মুখের পরিবর্তন, যেমন– ঘা, রক্তপাত, ব্যথা বা অসাড়তা।
ঘন ঘন জ্বর, রাতে ঘাম।
অতিরিক্ত ক্লান্তি লাগা, যা বিশ্রাম নিলেও কাটে না।
দেখা বা শুনতে সমস্যা।
খাদ্যে অরুচি, খিদে না পাওয়া।
ত্বকে পরিবর্তন, যেমন– ত্বক কালো হয়ে যাওয়া, ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি ইত্যাদি।
এসব ছাড়াও ক্যান্সারের আরও অনেক অস্পষ্ট উপসর্গ আছে, যেগুলো থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই। এ কারণে শরীরে যদি বড় কোনো ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, বিশেষ করে এটি যদি দীর্ঘ সময় ধরে হয় বা খারাপ হতে থাকে, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
লেখক : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
- বিষয় :
- ক্যান্সার