ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

৬৭ শতাংশ গুমের ঘটনায় জড়িত পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি-সিটিটিসি

৬৭ শতাংশ গুমের ঘটনায় জড়িত পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি-সিটিটিসি

..

রাজীব আহাম্মদ

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫ | ০১:৪৮ | আপডেট: ১১ জুন ২০২৫ | ১৩:৩৩

আওয়ামী লীগের শাসনামলে এক হাজার ৮৩৭টি গুমের অভিযোগ পেয়েছে গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি। এর মধ্যে এক হাজার ৭৭২ অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এক হাজার ৪২৭ জন ভুক্তভোগী জীবিত উদ্ধার হয়েছেন বা ফেরত এসেছেন। ৩৪৫ ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ। গুমের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা দেখানো হয়েছে একটি নথি ও বক্তব্যের সূত্র ধরে। 

কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ: আ স্ট্রাকচারাল ডায়াগনসিস অব এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন জমা দেয় কমিশন। প্রথম প্রতিবেদনে ছিল গুমের আলামত ধ্বংসের বর্ণনা। 

এসব প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে। প্রতিবেদনগুলো মূলত অভিযোগের নানামাত্রিক বিশ্লেষণ। 

৬৭ শতাংশ গুমে জড়িত পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি, সিটিটিসি

প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব গুমের ঘটনায় শুরুতেই পরিবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং গণমাধ্যমে আসে, সেসব ঘটনার বিচার করা তুলনামূলক সহজ। মীর আরমানের মামলাকে এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে নেওয়া হয়। তাঁকে র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখা ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট গুম করে বলে উল্লেখ করে কমিশন। আট বছর তাঁকে বন্দিশালায় রাখা হয়। এর সঙ্গে পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালকদের (গোয়েন্দা) নাম এসেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গুমের জন্য র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়ী করে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রমাণ পাওয়া গেছে, র‍্যাবের গোপন বন্দিশালা খুবই নিয়ন্ত্রিত ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়লে বন্দিদের সামান্য প্যারাসিটামল দিতেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হতো। ওই সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কমিশন একাধিকবার তলব করলে তারা দাবি করেন, গোপন বন্দিশালার বিষয়ে কিছুই জানেন না। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবরে র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার বন্দিশালা পরিদর্শনে গিয়ে কমিশন দেখেছে, ভবনটির চাবি পরিচালকের (গোয়েন্দা) কাছে রয়েছে। যদিও তিনি দাবি করেন, ভবনটি পরিত্যক্ত; বহু বছর ধরে ব্যবহার হয় না।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) গুমের ৬৭ শতাংশ ঘটনায় জড়িত। একটি গুমের ঘটনায় একাধিক সংস্থার জড়িত থাকার নজির রয়েছে। কমিশন প্রতিবেদনে বলে, র‍্যাব-১ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ টাস্কফোর্স (টিএফআই) সেলে হাজারের বেশি মানুষকে সপ্তাহ, মাসের পর মাস আটকে রাখা হতো। বন্দিদের চোখ ও হাত বাঁধা থাকত। পুলিশ কর্মকর্তারাও অভিযানে অংশ নিতেন। বন্দিদের সারাদেশ থেকে আনা হতো। অনেক ক্ষেত্রে বন্দিদের হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলা হয়। 

পুলিশের ইউনিটগুলোর মধ্যে ডিবি গুমে জড়িত ছিল বলে কমিশন প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। বিরোধী দলের নেতাকর্মী, অ্যাক্টিভিস্ট, সন্দেহভাজন অপরাধীদের অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখত। নির্বাচন ও আন্দোলনের সময় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীর ধরপাকড়ে ডিবির তৎপরতা বাড়ত। 

শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা 

প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশন অনুসন্ধানে জানতে পারে, র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা দীর্ঘদিন গুম থাকা বন্দিকে হত্যার আদেশ দিলেও তা মানেননি এক অধস্তন। তিনি ওই কর্মকর্তাকে বলেন, ‘যদি উনাকে মারতে হয়, আমাদের চেঞ্জ করে দিন। আমি মারতে পারব না।’ ওই র‍্যাব সদস্য ৫ আগস্টের পরও স্বপদে ছিলেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে, বেআইনি আদেশ প্রতিরোধ করা যেত।

কমিশন বলে, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণভবনে তল্লাশি করে দুই র‍্যাব কর্মকর্তার ২০১৫ সালের নথি পায়। ওই দুই কর্মকর্তা চিঠিতে তাদের পরিচালককে (গোয়েন্দা) জানিয়েছিলেন, তারা অবৈধ আদেশ মানবেন না। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুলিবর্ষণে তারা অংশে নেবেন না। 

কমিশন গুমের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লে. জেনারেল (অব.) আকবর কমিশনকে জানিয়েছেন, তিনি হুম্মাম কাদের চৌধুরীর গুমের বিষয়টি নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছিলেন। 

জিজ্ঞাসাবাদে ভারতীয় ও আমেরিকানদের উপস্থিতির অভিযোগ 

গুমে ভারতীয় সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন ভুক্তভোগী জানান, ভারতে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। আরেক ভুক্তভোগী জানান, ভারতীয় মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের ভিডিও পোস্ট করার পর তাঁকে র‍্যাব ধরে নেয়। তারপর ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে চার দিন পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

অপর এক ভুক্তভোগী জানান, র‍্যাব হেফাজতে গুম থাকা অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় হিন্দিভাষীর উপস্থিতি ছিল। ডিবির বন্দিশালায় থাকা এক ভুক্তভোগী জানান, তাঁকে দুই আমেরিকান জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ডিজিএফআইর বন্দিশালায় থাকা এক ভুক্তভোগী জানান, তাঁকে ইংরেজিভাষী ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদ করেন। 
প্রতিবেদনে অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। তাদের ক্ষতবিক্ষত দেহের ছবি রয়েছে প্রতিবেদনে। ভুক্তভোগীরা জানান, ঝুলিয়ে পেটানো, হাত-পা বেঁধে মারধর, নখ তুলে ফেলা এবং বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হতো। হত্যার পর লাশ রেললাইনে ফেলা ও গাড়িচাপা দেওয়ার তথ্য পাওয়ার কথা রয়েছে প্রতিবেদনে। 

গোয়েন্দা সংস্থাও জড়িয়ে পড়ে

কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ডিজিএফআইর কাজ হলেও সংস্থাটি রাজনীতি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে। ‘আয়নাঘর’ তৈরি করে সেখানে বন্দিদের ওপর নির্যাতন করা হতো। সেখানে ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী, রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মাইকেল চাকমাসহ শতাধিক মানুষ বন্দি ছিলেন। গুমের শিকার ব্যক্তিদের অপহরণে র‍্যাবের সহায়তা নিত তারা। আর ঢাকা সেনানিবাসে তৈরি ‘আয়নাঘর’ সেনা কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুমের শিকার ২৫৩ ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ তথ্য রয়েছে। তাদের তুলে নেওয়ার পর পরিবারের করা জিডি, পরবর্তী সময়ে ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো এবং গোপন বন্দিশালা সম্পর্কে ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য পাওয়া গেছে। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ জিডি নিত না। 

বিচার ব্যবস্থায় গুমের প্রভাব

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাসের পর মাস গুম রাখার পর আদালতে সোপর্দ করার সময় ভুক্তভোগীদের ভয় দেখানো হত। একজন ভুক্তভোগী কমিশনকে জানান, তাঁকে বলা হয়– আদালতে বলতে হবে আগের দিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিন মাস আগে আটক করে গুম রাখার তথ্য ফাঁস করলে পাঁচটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে। একজন ভুক্তভোগী জানান, তাঁকে গুম রাখার পর আদালতে তোলা হয় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে। তিনি অপরাধ স্বীকার করতে রাজি নন জানালে ম্যাজিস্ট্রেট ডাক দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের আসামি তো ভালো স্বীকারোক্তি দিচ্ছে না।’ 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক ভুক্তভোগী জানান, গুম করা ব্যক্তিকে সেদিনই আদালতে তোলা হতো, যেদিন তাদের পছন্দের ম্যাজিস্ট্রেট থাকতেন। তাই গুমের কথা আদালতে জানিয়ে লাভ হতো না। 

আরেক ভুক্তভোগী জানান, তাঁকে এক বিচারকের সামনে হাজির করা হয় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে। ভুক্তভোগী বিচারককে অনুরোধ করেন পুলিশকে সেখান থেকে বের করে দিতে। কারণ, পুলিশ তাঁকে গুম করে রেখেছিল। বিচারক তা শোনেননি। জবানবন্দিতে সই করতে চাপ দেন। আরেক ভুক্তভোগী জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের সময় তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরো বিচার ব্যবস্থায় গুমের প্রভাব পড়েছে। ১৯৮ জনকে গুমের পর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শেখ হাসিনার সমালোচনা করায় ৯ জনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামি করা হয়। কাউকে কাউকে পুলিশ তল্লাশিতে কিংবা গোপন বৈঠক থেকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়। কমিশনের অনুসন্ধান অনুযায়ী, এসব মামলার বয়ান হুবহু এক রকম। মাত্র ৭ শতাংশ মামলা আদালতে প্রমাণ হয়েছে।

গুম হওয়া ১০১ জনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আছে

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক ভুক্তভোগী কমিশনকে জানান, তাঁর সেলে আরেক বন্দি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যায় পড়াশোনা করতেন। কিন্তু তাঁর নাম জানেন না। কমিশন এমন এক ভুক্তভোগীকে পেয়েছে, যিনি পদার্থবিদ্যায় পড়াশোনা করেছেন। 

কমিশন প্রতিবেদনে বলছে, যে ২৫৩ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য মিলেছে, সেগুলো ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের ৩৬ জেলায় ঘটেছে। সর্বোচ্চ ৫১টি ঘটনা ঘটে ২০১৭ সালে। এই ২৫৩ জনের মধ্যে অন্তত ১০ জন ১৮ বছরের কম বয়সী ছিল গুমের সময়। ২২৮ জনের পেশাগত পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের ৬৬ জন ছিলেন শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীদের এক দিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত গুম করে রাখা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুম হওয়া ১০১ জনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা রয়েছে।  তাদের মধ্যে ৩৭ জন বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের, ৩১ জন ইসলামী ছাত্রশিবিরের, ২৫ জন জামায়াতের, দু’জন করে ইসলামী আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলামের এবং একজন করে খেলাফত ও তাবলিগের। আওয়ামী লীগেরও দু’জন রয়েছেন। দু’জন হিন্দু, বাকিরা মুসলিম। দু’জন নারী। 

গুমের শিকার এক বিএনপিকর্মী কমিশনকে জানান, গুম থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অর্থের তথ্যের জন্য তাঁকে নির্যাতন করা হয়। খালেদা জিয়া ঢাকার দূতাবাসগুলোকে কী উপহার পাঠান, দূতাবাসগুলো কী উপহার পাঠায়, তা জানতে চেয়ে মারধর করা হয়েছে। 

তথ্য জানাতে অসহযোগিতা 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি সংস্থার গোপন বন্দিশালার সরেজমিন ছবি তোলা হয়। কিন্তু সংস্থাটি লিখিত বক্তব্যে প্রথমে গোপন বন্দিশালার কথা অস্বীকার করে। প্রমাণ দেওয়ার পর স্বীকার করেছে। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথ্য দিতে গড়িমসি করেছে। বাহিনীগুলোর সদস্যরা কে কোথায় দায়িত্ব পালন করেছেন, এমন সব তথ্য দিতে গড়িমসি করা হয়েছে। একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এমনকি মহাপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্যান্য সংস্থা কমিশনকে সহায়তা করতে নিরুৎসাহিত করছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিছু ঘটনা এক দশক আগের। সেগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফোনকল রেকর্ড পাওয়া যায়নি। উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, একজন র‍্যাব সদস্যের ছবি পাওয়া গিয়েছিল, যিনি গোপন বন্দিশালায় আটক এক ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করেন মুক্তিপণের টাকার জন্য। টাকা দেওয়ার পর সেই নিখোঁজ ব্যক্তি আর ফেরেননি। যে নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল, সেটির প্রকৃত মালিকের পরিচয় উদ্ধার করা যায়নি। নম্বরটি পুনরায় বিক্রি করা হয়েছে। 

কমিশন জানিয়েছে, ৫ আগস্টের পর নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। কিছু থানা পুড়িয়ে দেওয়ায় তথ্য চাইলে পুলিশ বলে, নথিপত্র পুড়ে গেছে। 

কমিশন প্রথম প্রতিবেদনে যে দুটি গোপন বন্দিশালার কথা জানায়, তার একটি ডিজিএফআইর জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি), আরেকটি র‍্যাবের গোয়েন্দা ইউনিটের। গত ৫ আগস্টের পর এগুলো থেকে গুমের প্রমাণ মুছে ফেলতে হাসপাতাল-ক্লিনিক হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। যে বন্দিশালাকে হাসপাতাল হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল, সেটিতে বন্দি ছিলেন ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমান। তাঁর সাক্ষাতে এর বর্ণনা রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও দিয়েছেন তিনি। কমিশন গত বছরের ১৬ অক্টোবর গোপন বন্দিশালাটি পরিদর্শন করে। 

আরও পড়ুন

×