জেসিআই বাংলাদেশের নির্বাচনে এবার তিন পদে ১০ প্রার্থী

সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৭:৪৪ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৮:২৩
আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সাধারণ সভা ও নির্বাচন। এবার নির্বাচনে তিন পদে মোট ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে বিজয়ীরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন। জেসিআই বাংলাদেশের সদ্য সাবেক সভাপতি ইরফান ইসলাম এই নির্বাচনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শুক্রবার সমকালকে ইরফান ইসলাম জানান, শনিবার জেসিআই বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সাধারণ সভার ভেতরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট, ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, জেনারেল লিগ্যাল কাউন্সেল, ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট, ন্যাশনাল সেক্রেটারি জেনারেল, ন্যাশনাল ট্রেজারার, ট্রেইনিং কমিশনার, ন্যাশনাল ডিরেক্টর নির্বাচন করা হবে।
ইরফান ইসলাম বলেন, ‘তিন পদে এবার মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভার মাঝেই সদস্যরা তাদের পছন্দের ও যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়ে ব্যালট পেপার জমা দেবেন। তারপর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে সেখানেই শপথ পাঠ করানো হবে।’
জেসিআই বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে ইরফান ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু জেসিআই একটি আন্তর্জাতিক সামাজিক সংগঠন এবং কোনো ব্যবসায়িক সংগঠন নয়, সেহেতু নির্বাচন প্রক্রিয়া খুবই সাধারণভাবে সম্পন্ন হবে। ভোটাররা সবার সামনেই ব্যালটে সিল দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবেন।’
তিনি জানান, এ ধরনের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হওয়ার শঙ্কা নেই। বরং অবাধ ও সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
জেসিআই বাংলাদেশ-২০২১ সালের নির্বাচন কমিশনার ও সংগঠনের সদ্য সাবেক সভাপতি ইরফান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘জেসিআই বাংলাদেশ বরাবরের মতোই সমাজকে মানসম্মত করতে ও বদলে দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এবার নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই যোগ্য ব্যক্তি। তাদের মধ্যে যারা জয়ী হবেন তারা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জেসিআইকে এগিয়ে নিতে ও সমাজের কল্যাণে আরও অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।’
উল্লেখ্য, জেসিআই ১৮-৪০ বছর বয়সী তরুণ নাগরিকদের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যারা সমাজে সক্রিয় থেকে সমাজকে মানসম্মত করতে ও বদলে দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। জেসিআই কাজ করে দক্ষতা, জ্ঞান ও বুদ্ধির বিকাশের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে, যার মাধ্যমে সমাজের সঠিক নাগরিক হিসেবে তরুণ সমাজ তার দায়িত্ব পালন করতে পারে।