বিদ্যুতের বকেয়া বিল সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা

সারাদেশের গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা আট হাজার ৫৫৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে পাওনা ছয় হাজার ৯৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ৭৪৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। 

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। কমিটি সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আবু জাহির, নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর এবং নার্গিস রহমান অংশ নেন।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বকেয়া বিলের এই তথ্য জানা গেছে। কমিটি সরকারি খাতের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবকে সচিব কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বলেছে।

বৈঠকে দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের মধ্যে সরকারি খাতে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা সবচেয়ে বেশি ৬৯৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আধা সরকারি খাতের কাছে বকেয়া রয়েছে ১৯৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে পল্লী বিদ্যুতে। তাদের বকেয়ার পরিমাণ তিন হাজার ৭৯৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। সবচেয়ে কম ওজোপাডিকোর ৪৪৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, বকেয়া বিল আদায়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া সচিব কমিটির বৈঠকে সংশ্নিষ্ট সচিবদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবকে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে বকেয়া বিল বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলে বিদ্যুৎ বিলের টাকা তারা অন্য উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করে। কিন্তু বকেয়া বিলের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা পড়লে জনগণের উন্নয়নেই যে ব্যবহার হয়, এটা বুঝতে হবে।

বৈঠকে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার দ্রুত স্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, প্রিপেইড মিটারে বিদ্যুতের অপচয় এবং চুরি দুটোই কম হয়। বিল বকেয়া থাকার বিষয়টিও থাকে না। এজন্য দ্রুত এই মিটার স্থাপন করার জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে।

বৈঠকে জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজ করার পাশাপাশি হয়রানি রোধে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।