বাংলাদেশ হয়ে হলদিয়া-আসাম রুটে জাহাজ চলাচল শুরু

ছবি: ফাইল
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১৫:০৯
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসামের পান্ডু পর্যন্ত নৌপথে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। টাটা স্টিলের পরিশোধিত স্টিল পণ্যের চালান নিয়ে দুটি বার্জ বুধবার পান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা করছে। ভারতের কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহন ও নৌপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এর উদ্বোধন করেন। ভারতের ইকোনমিক টাইমস ও কলকাতার টেলিগ্রাফ এ খবর দিয়েছে।
এ উপলক্ষে বক্তৃতায় সোনোয়াল বলেন, নতুন এ নৌপথ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে সহজ পরিবহনের সুবিধা দেবে। নতুন জলপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করবে। এতে পর্যটন শিল্প আরও চাঙ্গা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আরও নৌপথের উন্নয়নের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য ত্রিপুরার অন্যান্য নদীতে জরিপ করা হবে। ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে আটটি বড় নদী প্রবাহিত হয়েছে।
তিনি জানান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও জনগণের চলাচল বাড়াতে এবং দেশটির উত্তর-পূর্বে পরিবহন বাধা কমাতে নতুন জলপথ তৈরি করা হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ জন্য ত্রিপুরায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ জলপথ কর্তৃপক্ষ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ত্রিপুরা সরকার দুই দেশের মধ্যে জলপথ তৈরি করতে গোমতী নদীর ওপর ১০টি নতুন জেটিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে।
অপর এক অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে নতুন নৌপথ চালু হলে ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরের মধ্যে দূরত্ব হবে মাত্র ৬০০ কিলোমিটার এবং এটি সময় বাঁচানোর পাশাপাশি অনেক কম খরচে নির্মাণ সামগ্রী এবং অন্যান্য পণ্য পরিবহনের সুবিধা সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ ত্রিপুরার ফেনী নদীর ওপর একটি বিশাল সেতু নির্মিত হওয়ায় রাজ্যটি শিগগিরই চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বন্দরের সঙ্গ বিভিন্ন পণ্য ও ভারী যন্ত্রপাতি সহজে পরিবহনের জন্য সংযুক্ত হবে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহনের জন্য পরীক্ষামূলক চালানটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে জলপথে ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছিল।
কলকাতা থেকে সড়কপথে গুয়াহাটি হয়ে আগরতলার দূরত্ব ১৬৫০ কিমি, যেখানে বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৬২০ কিমি। ভারত এর আগে সময় এবং পরিবহন খরচ বাঁচাতে বাংলাদেশের বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করে দেশটির বিভিন্ন অংশ থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে।