ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই খুনে জড়িত নাঈম–জাহিদ চক্র

তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই খুনে জড়িত নাঈম–জাহিদ চক্র

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪:৩৩ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪:৩৩

রাজধানীর ডেমরার আমুলিয়া এলাকায় তিন সপ্তাহের ব্যবধানে একই কায়দায় দুই খুনে জড়িত দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো– মো. নাঈম ও জাহিদ হাসান। গত শুক্রবার ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার দু'জনই পেশাদার ছিনতাইকারী। রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে তারা দু’জনকে খুন করে। পৃথক অভিযানে লুণ্ঠিত দুটি রিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে আজ রোববার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার জিয়াউল আহসান তালুকদার বলেন, আমুলিয়া মডেল টাউনে গত ১৩ মার্চ এবং ৩ এপ্রিল অজ্ঞাতপরিচয় দু’জনের লাশ পাওয়া যায়। প্রথম ঘটনায় নিহত স্বপন ইসলাম পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। আর পরের ঘটনায় নিহতের নাম মিরাজ হোসেন। তিনিও অটোরিকশার চালক ছিলেন। এ ঘটনায় ডেমরা থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। ৩ এপ্রিলের মামলাটি তদন্তের একপর্যায়ে অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

উপকমিশনার বলেন, গত ২ এপ্রিল রাত ১২টার কিছু পরে নয়ন, নাঈম, জাহিদ ও রায়হান রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে একটি অটোরিকশা নিয়ে যাত্রাবাড়ী আসে। পরে তারা যাত্রাবাড়ী থানার পেছনে লেগুনা স্ট্যান্ডে স্বপনের অটোরিকশাকে টার্গেট করে। আমুলিয়া থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ আনার কথা বলে ২০০ টাকায় রিকশাটি ভাড়া করে। এরপর নয়ন ও নাঈম রিকশায় ওঠে। অপর দু'জন অন্য অটোরিকশায় তাদের অনুসরণ করে।

আমুলিয়া মডেল টাউনের নির্জন জায়গায় যাওয়ার পর নয়ন অটোরিকশা থেকে নেমে চালককে যন্ত্রাংশের বস্তা তুলতে সহায়তার কথা বলে অন্ধকার জায়গায় নিয়ে যায়। পরে চালকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে রিকশা দিয়ে দিতে বলে, নইলে হত্যার হুমকিও দেয়। কিন্তু চালক বলেন– ‘জান গেলেও রিকশা দেব না।’ তখন নয়ন ইট দিয়ে চালকের মুখ–চোখ ও মাথায় আঘাত করে এবং গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে অটোরিকশাটি নিয়ে নাঈম ও জাহিদ চলে যায়। এরপর তারা স্থানীয় মালা মার্কেটে সেলিমের গ্যারেজে গিয়ে রিকশাটি ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। দু’জনে দুই হাজার টাকা নেয়। এর পরদিন নয়ন নেয় আট হাজার টাকা।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বিলাল আল আজাদ সমকালকে বলেন, নাঈম ও জাহিদকে শনিবার আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দিতে জানা যায়, চক্রটি ৩ সপ্তাহ আগে ওই এলাকায় রিকশাচালক মিরাজ হোসেনকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন

×