বঙ্গবন্ধু পরিষদ-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস সমন্বয় কমিটির আলোচনা সভা

প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৪ | ২১:৩০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আইসিএবির অডিটোরিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা দর্শন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
সভায় সভাপতিত্ব এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্যে সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোরের বেশ কিছু ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সারল্য তুলে ধরেন। তিনি দাদা ভাই রোকনুজ্জামানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘শিশু হও, শিশুর মতো হও। শিশুর মতো হাসতে শেখো। দুনিয়ার ভালোবাসা পাবে।’”
মূল প্রবন্ধে সমন্বয় কমিটির সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় ব্যাপকভাবে কৃষিক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ফলে বঙ্গবন্ধু সরকার সাড়ে ৯ লাখ একর অতিরিক্ত জমি অর্থাৎ ৩৬ শতাংশের বেশি জমি সেচের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। এছাড়াও ১৯৭৫ সালে ১৮ এপ্রিল ফারাক্কা-সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন বঙ্গবন্ধু। তার জোড়ালো ভূমিকার কারণেই বাংলাদেশ ৪৪,০০০ কিউসেক পানি পাওয়ার শর্ত যুক্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপের কারণে ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে পূর্ববতী বছরের উৎপাদনের তুলনায় আমনের উৎপাদন বেড়েছিল শতকরা ২০ ভাগ ও আউশ ধানের উৎপাদন বেড়েছিল শতকরা ২৩ ভাগ। ওই অর্থবছরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেড়েছিল, যা দেশের ইতিহাসে বিরল।
ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও বৈদেশিক বাণিজ্য, শিল্প, কর ব্যবস্থায় বিভিন্ন পদক্ষেপে উল্লখ্যে করে মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৭৩-৭৮ প্রণয়ন করেন।
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাঁর ভাষণে বঙ্গবন্ধু পরিষদ-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস সমন্বয় কমিটির এই আয়োজনকে অত্যন্ত সময়োপযোগী হিসেবে উল্লেখও করে বলেন, দেশের অর্থনীতিতে অডিটর ও পেশাদার হিসাবরক্ষকদের ভূমিকা অনেক বড়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে অ্যাকাউন্ট্যান্টদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার উপর জোর দেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বাংলাদেশ অর্থনীতিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিফলন দেখানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা অতিক্রম করে এখানে এসেছেন। তিনি এখনো প্রতিনিয়ত অনেক বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে চলছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিটি মানুষের উচিত তাঁর পাশে থাকা, তাঁকে জানিয়ে দেওয়া যে আমরা আপনার পাশে আছি।