শেকৃবির হলের ক্যান্টিন
বাকির খাতায় ১২ লাখ টাকা, বেশির ভাগ ঋণী ছাত্রলীগ

ছবি-সংগৃহীত
শেকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | ২২:১৩
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের ক্যান্টিনে ১২ লাখ টাকা বাকি পড়েছে। বাকির ওই তালিকায় বেশির ভাগই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম পাওয়া গেছে। সম্প্রতি হল প্রাধ্যক্ষের কাছে তালিকাটি জমা দেন ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপক।
তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৪০৯ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী অনিক হাসান দুর্জয়ের কাছে ৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। তিনি শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা বকেয়া ছাত্রলীগের সহসম্পাদক, ২২৭ নম্বর কক্ষের একেএম তমাল আব্দুল্লাহর কাছে। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১ নম্বর কক্ষের আসাদুজ্জামান রিদোয়ানের কাছে ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা; ৪০৭ নম্বর কক্ষের রমজান আলীর কাছে ৩৬ হাজার টাকা; উপ-মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক, শেরেবাংলা হলের হৃদয় হাসান রাসেলের কাছে ৩৩ হাজার টাকা; দপ্তরবিষয়ক উপসম্পাদক জেনিথ খানের কাছে ২১ হাজার ২৭৫ টাকা পাওনা রয়েছে। এ ছাড়াও টাকা পাওনা রয়েছে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর কাছে।
সম্প্রতি নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নত করার জন্য একাধিক সভা করেন এবং ব্যবস্থাপকের কাছে বকেয়ার তালিকা চান। শুরুতে গড়িমসি করলেও শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হন। তালিকা পেয়ে প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল বডি হলে অবস্থানরত অভিযুক্ত একাধিক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় অভিযুক্তরা অনতিবিলম্বে টাকা পরিশোধের কথা জানান।
জানা গেছে, টাকা চাইলে ক্যান্টিন থেকে ব্যবস্থাপককে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফিরোজ মাহমুদ বলেন, আমরা তালিকা পেয়েছি। অভিযুক্তদের মধ্যে যাদের হলে পেয়েছি তাদের নিয়ে বসছি। সর্বোচ্চ বাকি খাওয়া শিক্ষার্থীর সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র জমা রাখা হয়েছে। টাকা পরিশোধ করে এসব নিয়ে যেতে হবে। অন্য যারা হলে নেই তাদেরকেও টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিচ্ছি।
প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, এ বিষয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক নোটিশ দেব। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যান্টিন, ডাইনিংয়ে কোনো জুলুম চলবে না।
- বিষয় :
- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়