ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পাশে সন্দেহজনক ব্যাগ

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৮:০৫ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২০ | ১০:৩৭
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের অ্যানেক্স ভবনের কাছ থেকে ব্যাগে ভরা বোমাসদৃশ একটি বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ব্যাগে একটি ছুরি, কয়েকটি দিয়াশলাই বাক্স, কিছু বৈদ্যুতিক তার এবং ইংরেজিতে লেখা একটি চিঠি পাওয়া গেছে।
বুধবার বিকেলে দুই যুবক ব্যাগটি ছুড়ে ফেলে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিন ঘন্টা ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোমা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ব্যাগে ফেক ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ভাটারা থানার অদূরে মার্কিন দূতাবাসের অ্যানেক্স ভবনটির অবস্থান। ঘটনার পর থেকে পুলিশ ওই ভবনটি ঘিরে রাখে। ওই এলাকায় যাতায়াত ও যান চলাচলও সীমিত করে দেওয়া হয়। তবে সন্ধ্যার পর বোমা বিশেষজ্ঞরা ব্যাগে থাকা বস্তুটি ভুয়া আইইডি হিসেবে চিহ্নিত করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দূতাবাসের বিপরীত দিকে প্রবেশপথ দিয়ে অ্যানেক্স ভবনে দুটি গাড়ি ঢোকে। ওই সময় সেখানে দুই যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জানতে চান। তখন যুবকদের একজনের হাতে থাকা কালো রঙের একটি ব্যাগ ফেলে দুইজনেই দৌড়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি থানায় জানানো হলে সঙ্গেই সঙ্গেই পুলিশ ওই এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে খবর দেওয়া হয়।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় দলের প্রধান অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী সমকালকে বলেন, খবর পেয়ে তাদের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগে থাকা বস্তু তল্লাশি করে। দীর্ঘ তিন ঘন্টা ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায় ব্যাগে থাকা বস্তুটি ফেক আইইডি। এ ছাড়া এর ভেতর একটি ছুরি ও ছিন্নবিচ্ছিন্ন একটি চিঠি পাওয়া গেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে চিঠিটিতে ইংরেজিতে 'আমেরিকান সেন্টার' লেখা বোঝা গেছে। এটি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমনিতেই কূটনৈতিক এলাকা
নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকে। তবে ওই ঘটনার পর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা
হয়েছে। বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধারের ঘটনাটি থানা পুলিশ ছাড়াও কাউন্টার টেররিজম
ইউনিট তদন্ত করছে। দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া দুই যুবককেও নানা কৌশলে চিহ্নিত করার
চেষ্টা চলছে।