মাংসপেশিতে ব্যথা হওয়ার কারণ

ফাইল ছবি
অধ্যাপক ডা. আলতাফ সরকার
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:১৯
মাংসপেশির ব্যথা যন্ত্রণাদায়ক এক অনুভূতি। যে কোনো বয়সেই এই ব্যথা হতে পারে। কখনও কখনও এই ব্যথা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে হাত-পায়ের পেশিতে তীব্র ব্যথা হলে সব কাজই থমকে যেতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা কোনো আঘাতের কারণে পেশির ব্যথা দেখা দেয়। আবার ভারী কিছু তুলতে গিয়ে, দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় বসে থাকলে এবং রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ হাঁটলে পেশিতে ব্যথা হতে পারে। তবে কখনও কখনও ব্যথার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। পেশির ব্যথার এমনই কিছু কারণের কথা জেনে নিন। যেমন–
মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ পেশির ওপরেও প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের কারণে এই পেশি ব্যথার সঙ্গে লড়াই করা মুশকিল হয়ে যায়। যারা প্রতিনিয়ত মানসিক চাপে থাকেন তারা সব সময় ক্লান্ত অনুভব করেন এবং পেশি ব্যথাও তাদের পিছু ছাড়ে না। কারণ তাদের শরীর পেশির ওপরের ধকল সামলাতে হিমশিম খায়। তাই অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকা ব্যক্তিদের পেশি ব্যথার কারণটা হতে পারে সেই মানসিক চাপই।
পানির অভাব: পানির অভাবে পেশি ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান নিশ্চিত করার আরেকটি কারণ তাই পেশি ব্যথা থেকে মুক্তি। পানি শরীরের মৌলিক চাহিদার মধ্যে একটি। আর তার স্বাভাবিক কার্যাবলি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। পানির অভাবে পেশি ব্যথা ছাড়াও মাথাব্যথা, অবসাদ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুষ্টির অভাব: খাবার থেকে পাওয়া ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের গুরুত্ব সবাই জানেন। এই উপাদানগুলো হাড় শক্তিশালী করে, মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা বাড়ায় এবং শরীরের সার্বিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে ভিটামিন ডি পেশির জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। আর ভিটামিন ডির উৎকৃষ্ট উৎস হলো সূর্যের আলো। এ ছাড়া কিছু কিছু খাবার যেমন– তৈলাক্ত মাছ, দুধ, ডিমের কুসুম, মাশরুম, মাখন ও চর্বিযুক্ত খাদ্যে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ঘুমের অভাব: পেশি ব্যথা হওয়ার আরেকটি বড় কারণ হলো ঘুমের ঘাটতি। প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম শরীর, বিশেষ করে পেশির সারাদিনের ক্ষয়পূরণের জন্য আবশ্যক। আর তা না হলে অবসাদ ঘিরে ধরবে, নিঃসৃত হবে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন, ক্ষতিগ্রস্ত হবে সুস্থ চিন্তাভাবনার ক্ষমতা।v
[ মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিজঅর্ডারস বিশেষজ্ঞ]
- বিষয় :
- ব্যথা