সুপারশপ খুচরা দাম নির্ধারণ করে না

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২২:২৮
সুপারশপগুলো পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করে না। উৎপাদনকারী কোম্পানি নিজেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। সে ক্ষেত্রে পণ্যের প্যাকেটে দামের সঙ্গে বাড়তি দাম সংযোজন বা বিয়োজন করার সুযোগ নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশ সুপারশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে দেওয়া এক চিঠিতে এমন মত দেওয়া হয়েছে। সুপারশপ পণ্যের বাড়তি দাম নিচ্ছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ তুলেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন সুপারশপের উদ্যোক্তারা।
সংগঠনের সভাপতি কাজী ইনাম আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভোক্তা অধিদপ্তর সুপারশপে পণ্যমূল্য নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা একপক্ষীয় ও ভিত্তিহীন। সুপারশপগুলো বিআর-২৮ চাল মিনিকেট নামে বিক্রি করছে বলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দেওয়া বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ চাল উৎপাদনকারীরা মিনিকেট নামে সারাদেশে চাল বাজারজাত করছেন। সুপারশপ চালের নামকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
সুপারশপের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের টিকিয়ে তারা ছাড় দিয়ে ব্যবসা করছেন।
এ ব্যাপারে 'স্বপ্টম্ন'র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, বিক্রয়মূল্যের প্রায় ২২ শতাংশের মতো চলে যায় পরিচালন ব্যয় বাবদ। ফলে পরিচালন মুনাফা থাকে বিক্রয়মূল্যের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশেরও কম। তাহলে উচ্চ মুনাফার জায়গা কোথায়!
মীনা বাজারের সিইও শাহীন খান জানিয়েছেন, মিনিকেট সুপারশপের দেওয়া নাম নয়। দামও তারা নির্ধারণ করে না।
এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান সমকালকে বলেন, 'তাদের চিঠিতে কী লেখা আছে তা আগে দেখতে হবে। না দেখে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।'
গত ৬ সেপ্টেম্বর এক সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সুপারশপগুলো বাজারের তুলনায় পণ্যের দাম বেশি নিচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের পণ্যে ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা করছে তারা। গত মঙ্গলবার ভোক্তা অধিদপ্তরে আরেক সভায় চাল ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চাল ছেঁটে মিনিকেট বানানোর কোনো যন্ত্র দেশে নেই। মিনিকেট একটি ব্র্যান্ড। এ নামে চাল না থাকলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।