ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

কর্মশালায় অভিমত

এলডিসি উত্তরণে কৃষির সদ্ব্যবহারের তাগিদ

এলডিসি উত্তরণে কৃষির সদ্ব্যবহারের তাগিদ

প্রতীকী ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০১:২১ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০১:২১

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উত্তরণ টেকসই করতে অন্যান্য উদ্যোগের সঙ্গে কৃষি সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। উত্তরণের ফলে যেসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে সেগুলো যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে হবে।

এলডিসি থেকে মসৃণ উত্তরণ-সংক্রান্ত এক কর্মশালায় এমন পর্যালোচনা এসেছে। এলডিসি থেকে সমন্বিত, মসৃণ ও টেকসই উত্তরণে স্থানীয় পর্যায়ের অংশীজনের এ কর্মশালা গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালা আয়োজনে সহযোগিতা দেয় স্থানীয় জেলা প্রশাসন। কর্মশালার বিশেষ অতিথি ছিলেন ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ। জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।

ইআরডি সচিব বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের মর্যাদা বাড়বে। এর বহুমুখী সুফল পাওয়া যাবে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে। কৃষির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার এবং শিল্পপণ্যের বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ সম্ভাবনায় পরিণত করতে হবে। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণকে টেকসই করতে হলে পাঁচ বছরের যে প্রস্তুতিকাল রয়েছে, তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে শিল্প বাণিজ্যের উন্নয়নে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশ ২০১৮ ও ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি)-র ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সব মানদ পূরণে সক্ষম হয়েছে। সিডিপি ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরব্যাপী প্রস্তুতিকালসহ বাংলাদেশের উত্তরণ সুপারিশ করেছে। পাঁচ বছর প্রস্তুতিকাল শেষে বাংলাদেশ নভেম্বর ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে।

আরও পড়ুন

×