ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

নকল প্রসাধনী উৎপাদনকারীরা বড় চক্র: ভোক্তার ডিজি

নকল প্রসাধনী উৎপাদনকারীরা বড় চক্র: ভোক্তার ডিজি

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ছবি: সমকাল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪ | ০৬:৫৭

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আসল প্রসাধনীর চেয়ে নকল পণ্যগুলো কিছুটা কম দামে পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সেগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব অনেক বেশি। ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে। নকল পণ্য প্রসাধনী উৎপাদনকারীদের চক্র অনেক বড়।

মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের (এএসবিএমইবি) মিডিয়া ফেলোশিপের জন্য মনোনীত সাংবাদিকদের নাম ঘোষণা করতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের ৩১ সাংবাদিককে ফেলোশিপের জন্য মনোনিত করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সফিকুজ্জামান বলেন, নকল প্রসাধনীর পণ্য ব্যবহার করলে দীর্ঘমেয়াদে এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব থাকে। তাতে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে। তাই জনগণকে সচেতনতা করা দরকার। নকল প্রসাধনী পণ্যের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু নকল পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেশি। তারা বড় চক্র। এক্ষেত্রে মিডিয়ার সহযোগিতা প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রসাধনী পণ্যের ৪৭০ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট রয়েছে। এ খাতে গুরুত্ব দেওয়া হলে এবং গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করা গেলে রপ্তানি বাজার বাড়ানো সম্ভব। বিশ্ব রপ্তানি বাজারের অন্তত ১ শতাংশ মার্কেটও ধরতে পারলেও প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের প্রসাধনী পণ্যের মার্কেটের সম্ভাবনা রয়েছে। 

সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনায় জনসচেনতা তৈরি করতে গণমাধ্যমকর্মীদের সম্পৃক্ত করার জন্য এ মিডিয়া ফেলোশিপ কার্যক্রম মাইলফলক হয়ে থাকবে। 

এর আগে অনুষ্ঠানে মিডিয়া ফেলোশিপ সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএসবিএমইবির সেক্রেটারি জামাল উদ্দিন। এ সময় তিনি নকল প্রসাধনী পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাব, এসব পণ্যের বিশ্ববাজারের আকার, দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর রপ্তানি সম্ভাবনাসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। 

জামাল উদ্দিন বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যক্রম আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে আরও বেশি দৃশ্যমান। তিনি প্রসাধনীর ব্যবহার ও উপযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

ফেলোশিপের জন্য প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে ১৪ জন, ইলেক্ট্রনিক ক্যাটাগরিতে ১০ জন এবং অনলাইন ক্যাটাগরিতে ৭ জনকে নির্বাচিত করা হয়।

আরও পড়ুন

×