ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কাস্টমস সার্ভার সচল, বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

কাস্টমস সার্ভার সচল, বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি-সংগৃহীত

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪ | ০০:৫৮

দেশের বিভিন্ন বন্দরের কাস্টমস সার্ভার সচল হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি চালান নথিভুক্ত করার কাজও। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় এর আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্বল্প পরিসরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হচ্ছে কনটেইনারও। যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের কাস্টমস সার্ভারও সচল হয়েছে। গতকাল সকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতের পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে।

ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে এতদিন আউটপাস পাচ্ছিলেন না আমদানিকারকরা। এ জন্য গাড়িতে পণ্যবোঝাই করার পরও তা বন্দর জেটি থেকে বের করা যাচ্ছিল না। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৩ হাজার কনটেইনার পণ্য আটকে ছিল। গতকাল থেকে এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (গেট শাখা) প্রদীপ দাশ জানান, গতকাল প্রথম দিনেই প্রায় ১ হাজার কনটেইনার পণ্য গেটপাস দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

প্রায় চার দিন পর গতকাল বিকেলে সচল হয়েছে যশোরের বেনাপোল কাস্টমসের ইন্টারনেট সার্ভার সিস্টেম। এর ফলে দেশের সর্ববৃহৎ এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ফের অটোমেশন পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে কারফিউ ও ইন্টারনেট সমস্যায় স্থবির হয়ে পড়ে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এই ক’দিন ম্যানুয়াল (সনাতন) পদ্ধতিতে শুধু পচনশীল, খাদ্য ও কাঁচামাল খালাস করা হয়। ফলে বেনাপোল সীমান্তের ওপারে সৃষ্টি হয় পণ্যজট।গতকাল বিকেলে বেনাপোল বন্দর ও কাস্টম হাউসের ডেটাবেজ সার্ভার সিস্টেম স্বাভাবিক হয়। এর আগ পর্যন্ত এদিন ৩৬ ট্রাক পণ্য আমদানি ও ১২ ট্রাক পণ্য রপ্তানি করা হয়।

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সচল হয়ে উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে কারফিউ শিথিল হওয়ায় দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, গতকাল সকালে কয়েকজন ব্যবসায়ীর আমদানি করা পাথরভর্তি ট্রাক ভারত থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আসে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এপার থেকেও পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যুরো ও প্রতিনিধিরা)

আরও পড়ুন

×