বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পৌরসভাকে পরিবেশবান্ধব করার তাগিদ

রাজধানীর আমারি হোটেলে সোমবার অ্যালটেক কনসালট্যান্ট এবং আইএইচই ডেলফ্ট ইনস্টিটিউট ফর ওয়াটার এডুকেশনের আয়োজনে এক ‘পিয়ার লার্নিং’ সেশনে অংশগ্রহণকারীরা। ফটো রিলিজ
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩:৩৬ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩:৪৩
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের পৌরসভাগুলোকে পরিবেশবান্ধব করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে নগর উন্নয়নকে পরিবেশবান্ধব সমাধানের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর আমারি হোটেলে আয়োজিত দিনব্যাপী এক ‘পিয়ার লার্নিং’ সেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি ‘পার্টনার্স ফর ওয়াটার’-এর সহায়তায় অ্যালটেক কনসালট্যান্ট লিমিটেড (এসিএল) এবং আইএইচই ডেলফট ইনস্টিটিউট ফর ওয়াটার এডুকেশন এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলোচনায় টেকসই সমাধানের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরবান ডেমোনস্ট্রেটর্স (ইউডি)-এর প্রকল্পের বিভিন্ন দিক উঠে আসে। উল্লেখ্য, কেশবপুর ও রাউজান উপজেলায় ইউডির চলমান পাইলট প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত বেশ কিছু জনসাধারণের ব্যবহার্য জায়গা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো নোংরা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ইউডির প্রতিনিধিরা জানান, পরবর্তী তিন বছরে এভাবে আরও ৮ থেকে ১০টি পৌরসভায় প্রকল্প বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যার ফলে অন্তত ১০০টি পৌরসভা উপকৃত হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান্ড্রে কার্সটেন্স ‘পিয়ার লার্নিং’ সেশনের উদ্বোধন করেন। আরবান ডেমোনস্ট্রেটর্সের প্রজেক্ট লিড ও এসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি ডব্লিউ চৌধুরী এবং এসআইবিডিপি ২১০০-এর পরামর্শক মির্জা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এর ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন। অ্যান্ড্রে কার্সটেন্স বলেন, ‘বাংলাদেশের সব শহরে প্রাকৃতিক সমাধানের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতা এবং বাসযোগ্যতা উন্নত করার লক্ষ্য সফল হোক। নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। নদী, উপকূলীয় এলাকা ও ডেল্টা ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে তার দেশের বিভিন্ন কোম্পানি ও জ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং দুই দেশের মধ্যে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা এ সেশনে অংশ নেন। প্রায় ১০টি পৌরসভার প্রতিনিধি ছিলেন, যারা ইউডির প্রজেক্টের আওতায় পরবর্তী পদক্ষেপগুলোতে একাত্ম হয়ে কাজ করবে।