আমদানি সুবিধায় দেশি কসমেটিকস উৎপাদন-বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে: এএসবিএমইবি

লোগো
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫ | ২২:২২
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার খাতে আমদানি উৎসাহিত করা হয়েছে। সরকারের এমন উদ্যোগে দেশি কসমেটিকস উৎপাদন-বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছে এ খাতের বাণিজ্য সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ (এএসবিএমইবি)’।
আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। সেখানে বলা হয়, ‘যত সুবিধা সব দেওয়া হয়েছে আমদানিকারকদের। ফলে দেশি কসমেটিকস উৎপাদন ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। আমদানিকৃত কসমেটিকস পণ্যের প্যাকেজিং শুল্কমুক্ত হলেও দেশীয় উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে প্যাকেজিং আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ১২৮ শতাংশের মত। যা বৈষম্যমূলক। এমনকি সরাসরি কসমেটিকস আমদানির ক্ষেত্রে কেউ সোনা মুড়িয়ে প্যাকেজিং করে, তা দেশে নিয়ে আসে, কিছুই করার থাকে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমদানিকৃত পণ্যের ট্যারিফ ভ্যালু এতই কম যে তা বৈষম্যমূলক। কসমেটিকস পণ্যের ট্যারিফ ভ্যালু আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শুল্কায়নের দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, আমদানি পর্যায়ে প্রকৃত ক্রয় মূল্য গোপন করে ন্যূনতম ট্যারিফ মূল্যে শুল্কায়নের ফলে আমদানিকৃত কালার কসমেটিকস পণ্য সামগ্রীর ল্যান্ডেড কস্ট স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কালার কসমেটিকস পণ্যের উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম হয়। যে কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কালার কসমেটিকস ও আমদানিকৃত কালার কসমেটিকস পণ্যের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অনুপস্থিত। তাই কালার কসমেটিকস পণ্য সামগ্রীর ন্যূনতম ট্যারিফ মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে সাথে সামঞ্জস্য রেখে নেট ওয়েটের পরিবর্তে গ্রস ওয়েট বিবেচনায় নিয়ে কাস্টমস শুল্কায়ন করা আবশ্যক বলে দাবি করেছেন তারা।’
আরও বলা হয়, ‘কালার কসমেটিকস পণ্য দেশে আমদানি পর্যায়ে শুল্কায়েনের ক্ষেত্রে যে নীতি প্রচলিত রয়েছে তা দেশীয় উৎপাদন ও শিল্প বিকাশে অন্যতম বাধা বলে মনে করছেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা। এ খাতের বাণিজ্য সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশের (এএসবিএমইবি) নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।’
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘ইতোমধ্যে দেশে উৎপাদিত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কসমেটিকস পণ্য মধ্যপ্রাচ্য, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। আমদানির বিকল্প ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা জরুরি। বিদ্যমান বিনিয়োগের সুরক্ষা নিশ্চিত করলে এই খাতে বিনিয়োগ করতে দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসবেন। যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হবে।