ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতার জন্য ব্যাংক একীভূতকরণ

গুগল পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গভর্নর

আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতার জন্য ব্যাংক একীভূতকরণ

ড. আহসান এইচ মনসুর

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫ | ০০:৪৮ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ | ০৬:৫২

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্য কিছু ব্যাংক একীভূতকরণ করতেই হবে। এক্ষেত্রে আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের নিশ্চয়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুতরাং আতঙ্কিত না হয়ে যে যেখানে (যে ব্যাংকে) আছেন সেখানেই থাকুন। গতকাল সিটি ব্যাংকের ‘গুগল পে’ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত এক্সিম, সোস্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে একটি করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাই থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে একীভূতকরণের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করা হবে।

রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। হয়তো কয়েক বছর সময় লাগবে। ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য এরই মধ্যে ঋণশ্রেণীকরণ নীতিমালা আন্তর্জাতিক মানের করা হয়েছে। ঝুঁকিভিত্তিক (রিক্সবেসড সুপারভিশন) তদারকি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে ২০টি ব্যাংকের ওপর ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৭টি ব্যাংক এই তদারকির আওতায় আসবে। আগামী বছর থেকে পুরোপুরি ব্যাংক খাতের জন্য ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি ব্যবস্থা চালু হবে। ব্যাংক খাত যেন কোনোভাবেই আর আগের মতো অবস্থায় যেতে না পারে সে লক্ষ্যে এসব করা হচ্ছে।

গভর্নর বলেন, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সফলতার দিকে গিয়েছি। আগামীতে আরও সফল হবো। আগামী অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা আমার লক্ষ্য। যদিও সরকারিভাবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ।

গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশের মুদ্রার মান বাংলাদেশ থেকেই নির্ধারিত হবে। কোনো অযৌক্তিক কারণে এক পয়সাও অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই। দুবাই থেকে আমাদের টাকার মান নির্ণয় হবে না। আমি আগেও এই চ্যালেঞ্জ দিয়েছি, এখনও বলছি। এখন অবশ্য তাদের সুযোগ কমে গেছে। আইএমএফের শর্ত মেনে ডলারের দর বাজারভিত্তিক করার পরও বাজার স্থিতিশীল আছে। আইএমএফের শর্ত মানতে আমরা হয়তো ৬ মাস সময় নিয়েছিলাম। সেটি নেওয়া হয়েছিল মূলত বাজার একটা পর্যায়ে আনার জন্য। বাংলাদেশের সম্ভাবনা যেমন আছে; সেটি নষ্ট করার সুযোগও বেশি। সবাই মিলে এই সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে হবে।’

আরও পড়ুন

×