মাদক না ছাড়ায় গায়ক নোবেলকে তালাক দিলেন সালসাবিল

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩ | ০৮:২৬ | আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ | ১০:২৭
বহুবার নিষেধ করার পরও মাদক না ছাড়ায় নোবেলকে তালাক দিয়েছেন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুক পোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এতোদিন তালাক ঝুলিয়ে রাখলেও সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নোবেলের কাছে মাদক ছাড়ার ব্যাপারে জানতে চান সালসাবিল; কিন্তু নোবেল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি মাদক ছাড়বেন না। এরপরই তালাক সম্পন্ন করেছেন বলে জানান সালসাবিল।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সালসাবিল মাহমুদ বলেন, ‘তালাকের চিঠি আগেই দিয়েছিলাম। তালাক কার্যকর হতে তিনমাস সময় লাগে। কিন্তু চাইলে সেটাকে স্থগিত করা যায়। আমি নোবেলের পরিবর্তন আশা করে সেটাকে স্থগিত রেখেছিলাম। আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) সেটা কার্যকর করেছি।’
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে সালসাবি লিখেছেন, ''আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পর যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, 'নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল' এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।''
নোবেল মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে অনেকের হাত আছে বলে উল্লেখ করে সালসাবিল বলেন, তারা সবসময়ই নোবেলের আশেপাশেই থাকেন। সালসাবিল বলেন, 'আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিল না। এমননা যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী, কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে, সরকারি প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী।'
নোবেলের আশেপাশে যাদের দেখা যায় তারা মাদক ব্যবসায়ী বলেও উল্লেখ করেছেন সালসাবিল। তিনি বলেন, 'আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন। তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও রয়েছে।' দরকার হলে নাম বলবেন বলে জানিয়েছেন সালসাবিল। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, 'বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যাবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে, যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই, আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত।'
সালসাবিল আরও বলেন, 'মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে, কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।'