ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

যা শেখার মঞ্চেই শিখেছি, এখন সেগুলো অনুশীলন করেছি: তৌকীর

যা শেখার মঞ্চেই শিখেছি, এখন সেগুলো অনুশীলন করেছি: তৌকীর

আনন্দ প্রতিদিন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৩ | ০৭:০৭ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৩ | ০৭:১০

তৌকীর আহমেদ। নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা। সম্প্রতি দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ভারতীয় পরিচালক শ্যাম বেনেগাল নির্মিত এ সিনেমায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটি দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৌকীর আহমেদ। কথা হলো তার সঙ্গে–

মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার শুরুতে আপনাকে তাজউদ্দীন আহমেদের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য বলা হয়। অডিশনের পর চূড়ান্ত হয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চরিত্রটি। শুটিংয়ের সময় কোনো বাড়তি চাপ অনুভব করেছিলেন?

না। আমি এ ছবিতে শুধু কাজ করতে চেয়েছিলাম। যখন শুনলাম তাজউদ্দীনের পরিবর্তে আমাকে সোহরাওয়ার্দী চরিত্রে অভিনয় করতে হবে, তখন আমি এটিকে প্রমোশনই মনে করেছি। কেননা, সিনেমায় তাজউদ্দীন সাহেবের চরিত্রের ব্যাপ্তির চেয়ে সোহরাওয়ার্দীর চরিত্রটির ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব বেশি। আমি আমার জায়গা থেকে সেরাটা করার চেষ্টা করেছি। এখন দর্শকরা আমার অভিনয়ের জন্য অনেক ইতিবাচক মন্তব্য করছেন। এটি ভালো লাগছে। 

এমন একটি চরিত্র ফুটিয়ে তোলা কতটা কঠিন ছিল?

আসলে শিল্পের যে কোনো কাজই একটি চ্যালেঞ্জ। ঐতিহাসিক চরিত্র ফুটিয়ে তোলা আরও কঠিন। কারণ, সেটি মানুষের পারসেপশনে আছে, ইতিহাসের পাতায়ও আছে। সুতরাং সেটিকে যেনতেনভাবে উপস্থাপন করা যায় না। তাই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে এবং ভেবেচিন্তে কাজটি করতে হয়েছে।  


এই চরিত্রের জন্য আপনার প্রস্তুতি কী রকম ছিল?

অভিনেতা হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চরিত্র ধারণ করা যে কারও জন্যই আনন্দের। আমাদের দেশ ও রাজনীতির ইতিহাসে তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক চরিত্র। আমাদের দেশের ইতিহাসে তাঁর ভূমিকা অনেক। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে তাঁর প্রভাব অত্যন্ত তাৎপর্যময়। সুতরাং একটি বড় পরিসরে প্রস্তুতি তো নিতেই হচ্ছে। চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে নানান বইপত্র ঘাঁটতে হয়েছে আমাকে। মূলত সোহরাওয়ার্দীর জীবনী এবং তাঁর ওপর লেখা বিভিন্ন বই আমাকে দারুণ সাহায্য করেছে। কিছু ব্যক্তির অভিজ্ঞতা থেকেও তথ্য পেয়েছি, যারা তাঁকে দেখেছেন। অনেকের স্মৃতিচারণের মধ্য থেকেও তাঁর সম্পর্কে জেনেছি। তাঁর ইন্টারভিউর কিছু ফুটেজ দেখেছি। সেগুলো কাজে লেগেছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী আমাদের একটি ব্রিফ দিয়েছিলেন। তিনি আমায় বলেছিলেন, উনি কিন্তু ভালো বাংলা বলতে পারেন না। ইংরেজি, উর্দু এসব মিলিয়েই চরিত্রটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি।

নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের কী বক্তব্য ছিল?

শ্যাম বেনেগাল অনেক গুণী নির্মাতা। তিনি একজন অভিনেতার ওপর নির্ভর করেছিলেন। মনে আছে, তিনি আমাকে কোথাও ডিকটেক করেননি। প্রতিটি দৃশ্যের চিত্রায়ণের পর উৎসাহ দিয়েছেন। 

মঞ্চে কাজের অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লেগেছে...

অভিনয় তো অভিনয়ই। তা যে মাধ্যমেই হোক না কেন। এর পরও মঞ্চের অভিজ্ঞতা আমার সব সময় কাজে লাগে। কারণ, আমার বিদ্যাপীঠ তো মঞ্চ। যা শিখেছি, মঞ্চ থেকেই শিখেছি। এরপর সেগুলোর অনুশীলন করেছি। এখনও করছি। ভালো লেগেছে। লোকেও ভালো বলছেন।


আরও পড়ুন

×