জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি
গণিত অলিম্পিয়াড
-samakal-630301da27d4a.png)
বিজয়ীদের সঙ্গে অতিথিরা। ছবি :সংগ্রহ
শাহিনা নদী
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২২ | ২২:১১
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি সায়েন্স ক্লাব আয়োজিত অষ্টম জেইউএসসি জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড ২০২২-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি সায়েন্স ক্লাবের (জেইউএসসি) পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়।'গণিতের মাঝে বিজ্ঞানের বাস, গণিতেই করি মেধার বিকাশ'- এই স্লোগান ধারণ করে অনুষ্ঠিত হওয়া অষ্টম গণিত অলিম্পিয়াডে সারাদেশের প্রায় ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৪ হাজার ৬০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রতি ক্লাস থেকে পাঁচজন করে মোট ৩৫ জন অংশগ্রহণকারীকে নির্বাচন করা হয়।
গণিতের বিকাশে জাবি সায়েন্স ক্লাব প্রতি বছর এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে থাকে। এই অলিম্পিয়াডের উদ্দেশ্য মূলত শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিতভীতি দূর করা এবং বিজ্ঞানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণিতের প্রতি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করা। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম।
সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি জাবি সায়েন্স ক্লাবের বার্ষিক প্রকাশনা 'নিউক্লিয়াস' এবং গণিত অলিম্পিয়াডের বিশেষ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য সায়েন্স ক্লাবের রয়েছে নিজস্ব টিম। তাছাড়া জাবি সায়েন্স ক্লাব তাদের নিজস্ব প্রকাশনা 'নিউক্লিয়াস' এবং 'অরবিটাল'-এর মাধ্যমে বিজ্ঞানের বার্তা ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। আয়োজক সায়েন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জকিরুল ইসলাম বলেন, 'গণিত বিজ্ঞানের প্রবেশদ্বার, বিজ্ঞান চর্চায় দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গণিত অপরিহার্য।
কিন্তু গণিতের প্রতি আমাদের শিক্ষার্থীদের ভীতি অনেক বেশি, শিক্ষার্থীদের এই ভয় দূর করে ভবিষ্যতে যারা এ দেশের নেতৃত্ব প্রদান করবে, সেসব শিক্ষার্থীর গণিত প্রেম বাড়াতে আমাদের এই আয়োজন। বিজ্ঞান চর্চার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ গণিতবিদ ও তরুণ সমাজের মধ্য থেকে ভবিষ্যতের গণিতবিদ বের করে আনার লক্ষ্যেই আমাদের এই প্রচেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপরিহার্যতা আমরা দৃঢ়ভাবে অনুভব করি এবং ভবিষ্যতে বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গঠনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে আমাদের মাধ্যমে উন্নয়ন সাধিত হবে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অনন্য জনশক্তি আমরা উপহার দিতে পারব- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।'