ধ্বংসস্তূপে আলো ছড়াচ্ছে ‘গাজার নিউটন’

ছবি: মিডল ইস্ট মনিটর
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৭:৫৩
সহজলভ্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বাতাসের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এক ফিলিস্তিনি কিশোর। হুসসাম আল আত্তার নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর ইতিমধ্যে ‘গাজার নিউটন’ নামে পরিচিতি পেয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। ইসরায়েলি হামলার কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজায় এখন আলো ছড়াচ্ছে ‘গাজার নিউটন’।
হুসসাম আল আত্তার ৭ অক্টোবরের হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের আগে উত্তর গাজার জাবেল মুকাবের স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর পর আল আত্তার বেইত লাহিয়া এলাকায় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আল-নাসরে পালিয়ে আসে। এরপর সেখান থেকে পায়ে হেঁটে খান ইউনিসের কাছে পৌঁছায় তারা। এখন মিশরের সীমান্তে রাফাহতে শরণার্থী শিবিরে বাস করছেন তারা।
হুসসাম আল আত্তার পকেট ডায়নামো আর টিনের পাখা ব্যবহার করে বাতাসকে কাজে লাগিয়ে ছোট পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। কেন সে এমন উদ্ভাবন করেছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমার পিচ্চি দুইটি যমজ ভাতিজা আছে। তারা অন্ধকারে খুব ভয় পায়। আর যুদ্ধবিধ্বস্ত এই তাবুতে তাদের ভয়টা আরও বেশি ছিল। তাদেরকে সামান্য আনন্দ দিতে এবং ভয় কাটাতে সামান্য আলো জ্বালানোর জন্য এই উদ্যোগ নিই আমি।
হুসসাম বলেন, রাতে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায় তাবুর ভেতরে। তখন আমার মাথায় আছে এই বাতাসকে তো কাজে লাগাতে পারি আমি। তখন পকেট ডায়নামো আর টিনের পাখা ব্যবহার করে একটা জেনারেটর তৈরি করে ফেলি আমি। যা দিয়ে আমার পিচ্চি ভাতিজাদের জন্য আলো জ্বালাতে পারছি আমি। এছাড়া ঠান্ডা আবহাওয়ায় কিছুটা উষ্ণতা দিতে পারছি আমি।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, আমি এখন সাধ্যমত আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করে যাচ্ছি তাবুর মানুষদের জন্য। তারাই আমাকে গাজার নিউটন উপাধি দিয়েছে। আমার মা সবচেয়ে খুশি হয়েছে যে, আমি মানুষদের জন্য কিছু করতে পারছি।
‘আমার মতো শত শত উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন কিশোর আছে গাজায়। কিন্তু কেউই তাদের দিকে নজর দেয় না, কাজের প্রশংসা করে না। আমরা আমাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই,’ যোগ করে সে।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে আরব বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানান এই কিশোর।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
- বিষয় :
- বিদ্যুৎ
- ইসরায়েল
- গাজা
- ফিলিস্তিনি কিশোর