তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের কলকাতার বাসায় সিবিআইয়ের তল্লাশি

মহুয়া মৈত্র। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪ | ১৭:০০ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ | ১৭:০০
তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মহুয়া মৈত্রের কলকাতার বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)। আজ শনিবার এ তল্লাশি চালানো হয়। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার একদিন পর এ তল্লাশি চালায় সিবিআই।
এই সপ্তাহের শুরুতে সিবিআইকে মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা লোকপাল। ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সিবিআই। ওই সময় সিবিআইকে প্রতি মাসে তদন্তের অবস্থা সম্পর্কে পর্যায়ক্রমিক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। লোকপাল ওই আদেশে মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দিতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়।
এর আগে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ করে বিজেপি। অতি দ্রুত সংসদ সদস্যপদ খারিজের সুপারিশ করে ‘এথিকস কমিটি’। কমিটি প্রায় ৫০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দেয়। মহুয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করতেও সরকারকেও সুপারিশ করে ‘এথিকস কমিটি’। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভায় ব্যাপক আলোচনা ও কণ্ঠভোট হয়। পর স্পিকার ওম বিরলা লোকসভার পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারের সমালোচনা করে লোকসভায় প্রশ্ন করার বদলে শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে নগদ দুই কোটি রুপি এবং দামি উপহারসামগ্রী নিয়েছেন। তবে শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন মহুয়া মৈত্র ও তার দল তৃণমূল কংগ্রেস।
পরে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই সময় মহুয়া মৈত্রর সংসদ সদস্যপদ খারিজ হওয়া অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির এ ধরনের প্রতিহিংসার রাজনীতি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এই লড়াইয়ে মহুয়া জয়ী হবেন। জনগণই এর বিচার করবে। আগামী (লোকসভা) নির্বাচনে তারা (বিজেপি) পরাজিত হবে।’
কয়েক মাস ধরে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে লোকসভায় মহুয়া বেশ কিছু প্রশ্ন করছিলেন। এর মধ্যে অক্টোবরে ঝাড়খন্ডের গোড্ডা (ওখানে আদানির প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি হয়) কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিজেপির নিশিকান্ত দুবে মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘অনৈতিকতার’ অভিযোগ আনেন। তার অভিযোগ, শিল্পপতি হিরানন্দানির কাছ থেকে নানাবিধ ‘সুবিধা’ নিয়ে তার ব্যবসায়িক স্বার্থে মহুয়া প্রশ্নই শুধু করেননি, ই-মেইলের লগইন পাসওয়ার্ড পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ীকে দিয়েছিলেন, যাতে তিনি সরাসরি প্রশ্ন পাঠাতে পারেন যেটা ‘দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক’।
- বিষয় :
- তৃণমূল কংগ্রেস