ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

৫০ বছরের সুখী সম্পতির একসঙ্গে স্বেচ্ছামৃত্যু

৫০ বছরের সুখী সম্পতির একসঙ্গে স্বেচ্ছামৃত্যু

৭০ বছর বয়সী স্বামী জান ফাবার ও ৭১ বছর বয়সী স্ত্রী এলস ভ্যান লিনিংজেন। ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪ | ২১:৫৯

পাঁচ দশকের সুখের সংসার। হাসি-আনন্দ আর ভ্রমণে কেটেছে তাদের দাম্পত্য জীবন। স্বামী ছিলেন জাতীয় হকি দলের খেলোয়াড় ও পরামর্শক আর স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। জীবনকে উপভোগ করতে তারা একটি গাড়িকে নিজেদের ঘর বানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে একটি কার্গো নৌকাকেও তারা বাসা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। যাতে নতুন নতুন স্থানে নিজেদের নিয়ে যাওয়া যায়, উপভোগ করা যায় প্রকৃতিকে।

কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এসে সব হিসাবনিকাশ পাল্টে যেতে থাকে। শরীরে বাসা বাঁধে এমন এক রোগ, যার নিরাময়যোগ্য কোনো চিকিৎসা নেই। চরম যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে দু’জনই সিদ্ধান্ত নেন জীবনাবসানের। আর এতেই সুখী ওই দম্পতির স্বেচ্ছামৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। খবর বিবিসির। 

সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটেছে নেদারল্যান্ডসে। ৭০ বছর বয়সী স্বামী জান ফাবার ও ৭১ বছর বয়সী স্ত্রী এলস ভ্যান লিনিংজেনের সম্মতির ভিত্তিতে চিকিৎসকরা উচ্চমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করেন। এতে ৩ জুন তারা একসঙ্গে মারা যান। নেদারল্যান্ডসে স্বেচ্ছামৃত্যুর এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। দেশটিতে এই ধরনের মৃত্যু বৈধ হলেও তবে তা বিরল। কিন্তু প্রতিবছরই ডাচ দম্পতিরা এভাবে তাদের জীবনাবসান করেন। যৌথভাবে মৃত্যুর এই প্রক্রিয়াকে ডুয়ো-ইথানেশিয়া বলা হয়।  

স্বেচ্ছায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের তিন দিন আগেও দু’জন তাদের গাড়ি নিয়ে নেদারল্যান্ডসের উত্তরে ফ্রিজল্যান্ডে ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা আক্রান্ত ছিলেন ডিমেনশিয়ায়। এটি বেশ কিছু রোগের একটি শব্দ, যা স্মৃতিশক্তি, চিন্তাভাবনা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম করার সামর্থ্যকে হ্রাস করে। সময় যত যায়, অসুস্থতার মাত্রা আরও খারাপ হয়। এটি প্রধানত বয়স্ক ব্যক্তিদের হয়ে থাকে। সাধারণত ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের। জনের ২০০৩ সালের আগে থেকে এবং এলসের ২০১৮ সাল থেকে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। এর পর তারা নেদারল্যান্ডসের ‘মৃত্যুর অধিকার’ সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন। 


 

আরও পড়ুন

×