ইসরায়েলের হামলার দায় আমেরিকাকে নিতে হবে: ইরান

প্রতীকী ছবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫ | ১৩:০৪
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী ইসরায়েলের এই হামলার জবাব দেওয়ার ‘আইনি ও বৈধ’ অধিকার তেহরানের রয়েছে।
আজ শুক্রবার মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ইরানের বিরুদ্ধে জায়নবাদী শাসনের আগ্রাসনের বিপজ্জনক এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব ও পরিণতির জন্য এই শাসন এবং এর সমর্থকেরা দায়ী থাকবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইরানের বিরুদ্ধে জায়নবাদী শাসনের আগ্রাসী পদক্ষেপগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয় ও অনুমোদন ছাড়া চালানো সম্ভব নয়। অতএব, এই শাসনের প্রধান সমর্থক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারও জায়নবাদী শাসনের এই দুঃসাহসিকতার বিপজ্জনক প্রভাব ও পরিণতির জন্য দায়ী থাকবে।’
ইসরায়েলের এই হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছে না ইরান, বরং এর পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে বলে মনে করছে তেহরান। এটি মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, আজ শুক্রবার ভোরে স্থানীয় সময়ে দেশটির বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে ইসরায়েল। এই হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান, রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন রাইসিং লায়ন’ নামে ইরানে হামলা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের পারমানবিক কর্মসূচিকে ব্যর্থ করে দিতে এই হামলা করা হয়।
আজ শুক্রবার ভোরে ইরানে পাঁচ ধাপে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অজ্ঞাত এক সামরিক কমকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, ইরানে শত শত হামলা চালানো হয়েছে এবং অন্তত আটটি স্থানে (শহরে) লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।
আর ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় অন্তত দুটি ধাপে হামলা চালানো হয়। তবে নিশ্চিত না হলেও এখন তৃতীয় দফার হামলা চলমান থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যেসব স্থানে হামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে- রাজধানী তেহরান ও এর আশপাশের সামরিক স্থাপনা; তেহরানের দক্ষিণে নাতানজ শহর, যেখানে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র অবস্থিত; তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহর, যেখানে একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও দুটি সামরিক ঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে; তেহরানের দক্ষিণে ইস্পাহান শহর; তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে আরাক শহর ও পশ্চিমে কেরমানশাহ শহর।
ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলা হয়েছে আবাসিক ভবনেও।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী এসব হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান।
- বিষয় :
- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- ইরান