ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

কলকাতায় করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেননি প্রায় ৩ লাখ মানুষ

কলকাতায় করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেননি প্রায় ৩ লাখ মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২২ | ০৪:৫৭ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২২ | ০৪:৫৭

প্রথম ডোজ করোনা টিকা নিয়েছিলেন। তারপর আর টিকাকেন্দ্রমুখো হননি। এমন মানুষের সংখ্যা এক দুই জন নয়। শহর কলকাতায় এই সংখ্যা ২ লাখ ৮২ হাজার। বিপুল এই অঙ্ক দেখে চোখ কপালে উঠছে চিকিৎসকদের। কেন দ্বিতীয় ডোজ নিতে এত অনীহা? টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ৪ মাস কেটে গেলেও আসেননি আর। এমন ব্যক্তিদের টিকার ‘ওভারডিউ’ হিসাবে ধরছে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। 

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা যায়, এই ওভারডিউ-এ ১ নম্বরে কলকাতা। দুই এবং তিন নম্বরে যথাক্রমে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ। মালদহে টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে আর দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসেননি ২ লাখ ১৫ হাজার মানুষ। মুর্শিদাবাদে তা ২ লাখ ১০ হাজার।

যারা আর টিকা নিতে আসেননি তাদের ভ্যাকসিন দিতে বদ্ধপরিকর স্বাস্থ্য দপ্তর।

পিয়ারলেস হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক জানিয়েছেন, টিকার একটি ডোজ নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কেউ টিকা নেননি। কেউ নিয়েছেন। যারা একটি ডোজ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, তারাই বিপদের কারণ। ভাইরাস এদের শরীরে ঢুকে মিউট্যান্ট করে ক্ষতিকর কোনো চেহারা নিতে পারে।

জানা যায়, টিকা এক্সপ্রেসের মাধ্যমে জেলার গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায়, অনেকেই এমন মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রথম ডোজ নিয়েছেন যে নম্বর আদৌ টিকা প্রাপকের নিজের নয়। কোথাও বা নম্বরের অস্তিত্বই নেই। ফলে চেয়েও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না স্বাস্থ্য দপ্তর। 

শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক আরও জানান, প্রতিষেধকের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে করোনায় মৃত্যুর সম্ভাবনা সামান্য। চিকিৎসকের ব্যাখ্যা, টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরও যারা মারা যাচ্ছেন তাদের নিয়ে গবেষণা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কেউ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, কারও হৃদযন্ত্রের সমস্যা, কারও বা ক্যানসারের মতো অসুখ রয়েছে। এ সব কারণেই টিকার দুটো ডোজ নেওয়ার পরও মৃত্যু হচ্ছে।

এদিকে কোভিড সংক্রমণের পরিবর্তিত এলাকাগুলো রিভিউ করে মঙ্গলবার নতুন ২৯টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছেন পৌরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। নতুন তালিকায় উত্তর কলকাতার তিন নম্বর বরোয় সাতটি, দক্ষিণ কলকাতার আট নম্বর বরোয় পাঁচটি, নয় নম্বর বরোয় আটটি, ১০ ও ১৪ নম্বর বরোয় চারটি করে এবং ১৩ নম্বর বরোয় একটি করে কনটেনমেন্ট জোন চালু হয়েছে। প্রতিটি কনটেনমেন্ট জোনে স্যানিটাইজেশনে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন

×