বিন্দু বিন্দু
ভুল থেকে দারুণ কিছু!

লন্ডনে পিকাডেলিতে অবস্থিত হ্যাচার্ড
কামাল আহমেদ
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪ | ০৯:০৮
একটা বইয়ের খোঁজে একটি বইয়ের দোকানে যাওয়া দরকার বলে রোববার যে দোকানে যাওয়ার কথা ঠিক করলাম, ভুল করে তার বদলে ঢুকে পড়েছিলাম অন্য আরেকটিতে। ভূ-তল রেলের গ্রিন পার্ক স্টেশন থেকে বেরিয়ে ডান দিকে হাঁটলে বিলাসবহুল রিজ হোটেল ও কোটিপতিদের সদাই-পাতির দোকান ফর্টনাম অ্যান্ড ম্যাসনের পর আমার কাঙ্ক্ষিত বইঘরটির অবস্থান বলে মনে পড়ছিল। সুতরাং চিন্তা না করে মুখস্থবিদ্যার মতো ভেতরে সারি সারি বই দেখে ঢুকে পড়লাম। কিন্তু দু’দিকে দোকানের ভেতরে ঘোরানো সিঁড়ির অংশটুকু পার হতেই খটকা লাগলো। দোকানটা ঠিক মিলছে না। পাঁচতলা জুড়ে সাজানো বইয়ের সমাহার।এর মধ্যে দুষ্প্রাপ্য পুরোনো বইয়ের একটা অংশ আছে। যে বিষয়ের বই খুঁজছিলাম, তা পেলাম না। বেরুনোর সময় সাইনবোর্ড দুটো খুঁটিয়ে দেখলাম এবং ভুল ভাঙলো। এ দোকানটিতে আগে আসা হয়নি। হ্যাচার্ড বৃটেনের প্রথম বইয়ের দোকান এবং বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে পুরোনো দোকান। ২২৭ বছর ধরে হ্যাচার্ড লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে টিকে আছে। তাদের ব্যবসার বিভিন্ন দিক সম্পর্কেও অনেক কিছু জানা হলো। আড়াই দশকের বেশি লন্ডনে থেকেও আগে কখনো এ বইয়ের দোকানটি চোখে পড়েনি। এর কারণ সম্ভবত বাইরেটা খুবই সাদামাটা।
হ্যাচার্ড এখন যাদের মালিকানায় সেই কোম্পানি হচ্ছে বৃটেনের সবচেয়ে বড় বইয়ের চেইনশপ ওয়াটারস্টোনের সত্ত্বাধিকারী কোম্পানি। হ্যাচার্ডের কয়েকটি ভবন পরেই ওয়াটারস্টোনের বিশাল দোকান, যেটা ছিল আমার আসল গন্তব্য। ভূতলের এক তলা ধরে সাততলা জুড়ে এই বিক্রয়কেন্দ্রের আয়তন হ্যাচার্ডের দ্বিগুণেরও বেশি। সেখান থেকে বই কিনে ফেরার পর থেকেই হ্যাচার্ডের ব্যবসায়িক সাফল্যের কথা ভাবছি।
- বিষয় :
- কোম্পানি