মেধাবীরা শিক্ষকতায় অনাগ্রহী কেন

.
সোলায়মান মোহাম্মদ
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪ | ০৮:০১ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ | ১২:০৭
সরকার পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা দিয়েছে– দেশে লাখখানেক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, ৩০ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থী চাকরির আবেদন করেছেন। অথচ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছিলেন ৯৯ লাখের ওপরে। সেবার মাত্র ৩৪ হাজার আবেদন গৃহীত হয়েছিল। তবুও সেখানে ৮-১০ হাজার নিয়েছিল একেবারেই নতুন, বাকিরা আগেই নিয়োগপ্রাপ্ত; যারা বদলির জন্য আবেদন করেছিলেন। অর্থাৎ আমাকে চাকরিটা নিতে হয়েছিল ১ হাজার বা ১২শ ইনডেক্সধারী ও নন-ইনডেক্সধারী মেধাবীর বিপরীতে। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে শিক্ষকতা পেশাকে মেধাবীরা কতটা এড়িয়ে গেলেন? এটা কি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দক্ষতা, না যোগ্যতা, নাকি অন্য কিছু? শিক্ষক নিয়োগ দেবে ৯০ হাজারের ওপরে, অথচ আবেদন করেছেন মাত্র ৩০ হাজার।
সামাজিক মর্যাদার দিক থেকে শিক্ষকতা পেশা এখন পিছিয়ে আছে। সরকারি চাকরিতেও শিক্ষা ক্যাডারে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমে গেছে। সরকারি চাকরিতে বদলির সুযোগ থাকলেও বেসরকারি শিক্ষকদের তেমন সুযোগ নেই। এটাও এক ধরনের অসন্তোষ তৈরি করেছে। অথচ এক সময় সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরাই এ পেশায় যোগ দিতেন।
মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে আবেদনের এই হাল! যেখানে লাখো শিক্ষিত বেকার! চাকরির অভাবে উপায়ান্তর না দেখে আত্মহত্যার মতো জঘন্য পথও অনেকে বেছে নিচ্ছে। এখন আবার সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছে। এ রকম অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে শিক্ষকতার মতো অপরিহার্য পেশায় শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা অধিদপ্তরের দিকে সুবিশেষ নজর এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই জাতির স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। শিক্ষক
- বিষয় :
- শিক্ষকতা