ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

আমাদের হাত আমাদের ভবিষ্যৎ

আমাদের হাত আমাদের ভবিষ্যৎ

.

 আফরোজা চৈতী

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | ২২:৪৩ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ | ১৩:৪৬

বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর হাত ধোয়া দিবস উদযাপন করা হয়। জনসাধারণের মধ্যে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ করার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার উদ্দেশ্যে এ দিবসটি  উদযাপিত হয়ে থাকে।

হাত ধোয়া বা হাতের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বলতে সাবান বা হাত ধোয়ার তরল সাবান ও পানি দিয়ে কোনো ব্যক্তির হাতে আটকে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, অণুজীব, ময়লা, তৈলাক্ত পদার্থ বা অন্যান্য ক্ষতিকর ও অবাঞ্ছিত পদার্থ দূর করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। একে ইংরেজিতে ‘হ্যান্ডওয়াশিং’ বা ‘হ্যান্ড হাইজিন’ বলা হয়। ধোয়া হাত শুকানোও এই প্রক্রিয়াটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ ভেজা এবং আর্দ্র হাত আরও সহজে আবারও দূষিত হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কিছু কাজের আগে ও পরে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য হাত ধোয়ার পরামর্শ দেয়। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়, যেখানে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সুরক্ষায়। যেমন খাওয়ার আগে ও পরে, টয়লেট ব্যবহারের পর, নোংরা ও আবর্জনা হাত দিয়ে ধরার পর ইত্যাদি। 

দিবসটি ঘিরে প্রতি বছর একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের হাত আমাদের ভবিষ্যৎ’। দিবসটি জনজীবনে গুরুত্ববহ করতে কয়েকটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ– 

১. সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার একটি স্বাস্থ্যসম্মত আচরণের সমর্থন ও প্রচলন করা।

২. প্রতিটি দেশে হাত ধোয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া।

৩. সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।

পাঁচটি প্রধান ধাপে হাত ধোয়ার কথা বলা হয়। প্রথমে পরিষ্কার পানিতে হাত ভিজিয়ে নিতে হবে। তারপর হাতের পিঠ, তালু ও আঙুলে পরিমাণ মতো সাবান দিয়ে ঘসে নিতে হবে। হাতে কোনো আংটি বা অন্যান্য অলংকার সেটিও সাবান-পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। হাত ধোয়া শেষ হলে তা শুকনো কাপড় বা টিস্যু দিয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। ভালো করে হাত ধোয়ার বিষয়টি করোনাকালে বিশেষ গুরুত্ব পায়। সংক্রমণ রোধে এ অভ্যাসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাত ধোয়ার ফলে ডায়রিয়া, জ্বর, পেট ব্যথা, কলেরাসহ নানা ধরনের সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

সুইডেনের স্টোকহোমে ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম এ দিবসটি উদযাপন করা হয়। পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তারিখটি প্রতি বছর উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে ছিল– যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র, প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল, ইউনিসেফ, ইউনিলিভার, বিশ্বব্যাংকের পানি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা।

আরও পড়ুন

×