রোগজীবাণু প্রতিরোধে আমের আঁটি

অধ্যাপক ড. মো. গোলজার হোসেন এবং তাঁর গবেষক দল
তানিউল করিম জীম
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:৩৭ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১২:১৬
আমের মৌসুমে আমাদের দেশে প্রচুর আমের আঁটি সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষকদের হাত ধরে সেই আঁটি হয়ে উঠেছে সম্ভাব্য অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সম্পদ। সম্প্রতি বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলজার হোসেনসহ একদল গবেষক পরিত্যক্ত আমের বীজে এমন উপাদান শনাক্ত করেছেন, যা বিভিন্ন রোগজীবাণু প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এই সাফল্য অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের সমস্যায় নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে অধ্যাপক গোলজার নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণাটি শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক ড. সুকুমার সাহা, ড. শারমিন আক্তার, কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার সাহাসহ স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রাহীলা জান্নাত সাদিয়া, চন্দন সিকদার, আনন্দ মজুমদার, মোসলেমা জাহান মৌ এবং নাজমুল হাসান সিয়াম।
আমের আঁটি থেকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান তৈরির বিষয়ে ড. গোলজার হোসেন বলেন, ‘আমের বীজ বা সিড কার্নেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট এবং কিছু অ্যালকালয়েড ও ফেনলিক উপাদান পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ বিষয়ে আগে গবেষণা হয়নি। তাই আমি দেড়-দুই বছর আগে নিজস্ব অর্থায়নে এ নিয়ে কিছু করার পরিকল্পনা করি। পরে কৃষি রসায়ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই নির্যাস বের করি এবং বিভিন্ন প্যাথজেনিক ও নন-প্যাথজেনিক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা যাচাই করি। আমরা দেখেছি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে এটি বেশ কার্যকর। এই নির্যাস গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সক্ষম এবং এমনকি মিথিসিলিন বা পেনিসিলিন রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধেও কাজ করে। বিষাক্ত কেমিক্যালগুলো আলাদা করলে তা আরও কার্যকরভাবে শিল্পজাত করা যেতে পারে।’