ইউরিনে সংক্রমণ হলে যা করণীয়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ | ০৫:৩২
ইউরিনে সংক্রমণ নারী ও পুরুষ উভয়ের হলেও নারীদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। এ ধরনের সংক্রমণ হলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন-
১. প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হয়ে যাওয়া
২. প্রস্রাবে দুর্গন্ধ দেখা দেওয়া
৩. একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ অনুভব করলেও ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া
৪. প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা অনুভব করা
৫. তলপেটে বা পিঠের নিচের দিকে মারাত্মক ব্যথা হওয়া
৬. সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব বা কাঁপুনি দিয়ে ঘন ঘন শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
৭. বমি ভাব বা বমি হওয়া
এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়া ঘরোয়া উপায়েও এ সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন-
১. ইউরিন সংক্রমণ হলে কিংবা ঘন ঘন ইউরিন সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতা থাকলে প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। বিশেষ করে প্রসাবে হলুদ ভাব দেখা গেলেই দেরি না করে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। যাদের প্রায়ই এ সমস্যা হয় তারা সব সময়েই একটু বেশি পানি খাওয়ার অভ্যাস করবেন।
২. ইউরিনে সংক্রমণ হলে অনেক চিকিৎসক রোগীকে দৈনিক ৫ হাজার মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভিটামিন সি মুত্রথলি ভালো রাখে এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমাতে সহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাই ইউরিনে সংক্রমণ হলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
৩. আনারসে ব্রোমেলাইন নামক এক ধরনের উপকারী এনজাইম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরিন সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তাই ইউরিন সংক্রমণ হলে প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণে আনারসের রস খান।
৪. ইউরিনে সংক্রমণ হলে অন্তত দু’দিনের বেশি সময় স্থায়ী হয়। এ সময়ের মধ্যে সংক্রমণ কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব এর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। বেকিং সোড়া দ্রুত ইউরিন সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আধা চামচ বেকিং পাউডার এক গ্লাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে দিনে একবার করে খেলেই প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা ভাব কমে যাবে। সূত্র: জি নিউজ