‘আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই, যদি তুমি হও তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন?’
লিফলেট বিতরণকালে ১২ দলের নেতারা

গাজীপুরে ১২ দলের লিফলেট বিতরণ। ছবি: সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪ | ১৬:৩৭
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে না, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধ হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না। গত ১৬ বছরে সীমান্তে ১২০০ এর অধিক নিরীহ নাগরিককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফেলানীর লাশ যখন সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে ছিল তখন মনে হয় সমগ্র বাংলাদেশ আজকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে। যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের গাছা থানার আশরাফ মার্কেট এলাকায় ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণে উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরামসহ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
নেতারা বলেন, আমরা বিশ্ব সংবাদ মাধ্যম ও দেশের সংবাদ মাধ্যমে দেখছি ভারতের ৫২৭টি পণ্যের মধ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেগুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। সর্বশেষ যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাও ভারতের পণ্যগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে। তাদের দুইটি ওষুধে ক্যানসারের মিশ্র উপাদান পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুর, হংকং সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
নেতারা বলেন, আধিপত্যবাদ, আগ্রাসন, গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, রাওয়াল পিণ্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল, দিল্লির দাসত্বের জন্য নয়।
‘আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ কর, আগ্রাসন নীতি পরিহার কর, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ কর। কারণ আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবে, বাংলার মানুষ তা কোনোদিন গ্রহণ করবে না।’ যোগ করেন ১২ দলের নেতারা।
- বিষয় :
- ১২ দলীয় জোট
- ভারত