ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

অসময়ে তরমুজ চাষে নতুন স্বপ্ন

অসময়ে তরমুজ  চাষে নতুন স্বপ্ন

গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন উত্তর পোমরা গ্রামের হাজারিখীলের চাষি সাইফুল সমকাল

 মাসুদ নাসির, রাঙ্গুনিয়া  

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪ | ২৩:০৯

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর পোমরা গ্রামের হাজারিখীলে প্রথমবারের মতো চাষ করা হয়েছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। স্থানীয় চাষি মো. সাইফুল ইসলাম এবার ৮ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। প্রথমে খুব চিন্তায় ছিলেন যে তিনি গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ করতে পারবেন কিনা। কয়েকদিন পর  ক্ষেত থেকে পরিপক্ব তরমুজ বাজারে যাবে বিক্রির জন্য। ক্ষেতের তরমুজ খুবই স্বাদের, দেখতেও অনেক সুন্দর বলে জানান সাইফুল।
চাষি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ নিয়ে তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীলের সঙ্গে পরামর্শ করেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাকে তরমুজ চাষের বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দেন, তরমুজের বীজের ব্যবস্থা করে দেন। 
সাইফুল বলেন, ‘এ পর্যন্ত আট শতক জমিতে নিজের শ্রম বাদ দিলে ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আট শতক জমি থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করার সম্ভাবনা আছে। আমার দেখাদেখি এলাকায় অনেক তরুণ তরমুজ চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তরমুজের ক্ষেত দেখার জন্য অনেকে ভিড় করছেন। স্বল্প পুঁজিতে তরমুজ চাষ বেকার তরুণদের স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় হতে পারে।’ 
সাইফুল বলেন, প্রথম দিকে বেশির ভাগ মানুষ তাকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। কিন্তু তরমুজ চাষের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ থাকায়, লাভক্ষতির কথা চিন্তা করেননি। তরমুজ চাষে অনড় ছিলেন। 
এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীল বলেন, ‘সাইফুল শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছি। এলাকায় তার সফলতা দেখে অনেকেই গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষাবাদ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আমি মনে করি, এটিই আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অর্জন।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, ‘এখন তরমুজ সব মৌসুমে সব পাওয়া যাবে। বেকার যুবকরা বসে না থেকে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন। আমরা সবসময় তাদের সহযোগিতা করব। ’

আরও পড়ুন

×