ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

তামাকের বদলে ধান চাষ মাতামুহুরীর চরে

তামাকের বদলে ধান  চাষ মাতামুহুরীর চরে

মাতামুহুরীর চরে ভূমিহীন কৃষকের চাষ করা বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে সমকাল

 চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫ | ০১:০৬

চকরিয়া, লামা ও আলীকদম উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মাতামুহুরী নদীতে শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা চরে এবার তামাকের বদলে বোরো ধান চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন ভূমিহীন কৃষকরা। এতে প্রায় ১৫ হাজার টন ধান উৎপাদন হতে পারে।
জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার পর মাতামুহুরী নদীসহ অন্তত ৫০টি শাখা খাল ও ছড়ায় পানি কমে যায়। জেগে ওঠে বালুময় চর। একসময় নদীর পাড়ের লোকজন বালুচরে তামাক, বাদাম, শিম, মিষ্টি লাউ, আলু চাষ করতেন। কিন্তু নদীর পানিযুক্ত অংশে তেমন কোনো চাষ হতো না। এবার নদী পাড়ের দরিদ্র কৃষকরা বোরো ধান চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। 
স্থানীয় প্রশাসন কয়েক বছর ধরে মাতামুহুরী নদীর চরে তামাক চাষ বন্ধে তৎপরতা চালালেও এখন অনেকটা নীরব। ফলে মাতামুহুরীর চরে আবার ব্যাপকভাবে তামাক চাষ হচ্ছে। তামাকের বর্জ্যে নদী ও চিংড়ি ঘেরের পানিতে মিশে যাচ্ছে। এতে মাছের মড়ক দেখা দিচ্ছে। যে কারণে চকরিয়া সুন্দরবন এলাকার চিংড়ি ঘের ও নদীতে আগের মতো মাছ মিলছে না। 
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি যদি আগামী মৌসুম পর্যন্ত বর্তমান কর্মস্থলে থাকি কোনোভাবেই মাতামুহুরী নদীর বালুচরে তামাক চাষ করতে দেব না।’
চকরিয়া উপজেলার কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকরা মাতামুহুরীসহ শাখা খালের চরে চকরিয়া অংশে ১০০ হেক্টরে বোরো ধান চাষ করেছেন। একইভাবে লামা ও আলীকদম কুরুপকাতা ঝিরি অংশে আরও ২০০ হেক্টর চরে সাথি ফসলের সঙ্গে বোরো চাষ হয়েছে। এবার অনাবৃষ্টির কারণে নদীতে পানি না বাড়ায় ভালো ফলন হয়েছে।
দক্ষিণ কাকারা গ্রামের চাষি ওমর আলী জানান, তিনি প্রায় ৪০ শতক চরে বোরো চাষ করে ১ হাজার কেজি ধান পেয়েছেন। এ ধানে তার মৌসুমের চাহিদা মেটে যাবে। কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, বালু চরে তামাক আবাদ বন্ধ করে সাথি ফসল চাষ করা দরকার। 

আরও পড়ুন

×