ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ডিজিটাল ফটোগ্রাফি শুরুর আগে

ডিজিটাল ফটোগ্রাফি শুরুর আগে

.

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩:৩৬

বিষয়বস্তু নির্ধারণ
‘রুল অব থার্ডস’-এর ব্যবহার ঘটাতে মনে মনে ফ্রেমটির মাঝখানে চারটি রেখা টেনে নিন। দুটি রেখা লম্বা লম্বি আর দুটি আড়াআড়ি। তাহলে ফ্রেমটি ৯টি কল্পিত খণ্ডে বিভক্ত হয়ে যাবে। তাহলে দেখবেন, ফ্রেমের ঠিক কোন অবস্থানে বিষয়বস্তুটিকে রাখলে তা আপনার জন্য অর্থবহ হয়ে উঠবে।
ট্রাইপডে সমাধান
ক্লিক করার মুহূর্তে অজান্তেই অনেকে ক্যামেরা নাড়িয়ে ফেলেন। এ নড়ন সেই মুহূর্তটিতে হয়তো সামান্য বলেই মনে হয়; কিন্তু সেটির ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ছবিটিতে। দেখা যায়, হাত কাঁপার কারণে ছবি হয়ে গেছে ঘোলাটে! হয়ে গেছে কোনো বিমূর্ত চিত্র! ক্যামেরা শেক করার বা হাত কাঁপার বদঅভ্যাস থেকে থাকলে সম্ভব হলে ট্রাইপড ব্যবহার করুন। যেহেতু ট্রাইপডে ক্যামেরা বসিয়ে সবসময় ছবি তোলা সম্ভব নাও হতে পারে, তাই ধীরে ধীরে চর্চা করুন হাতের এই ব্যামোটি কাটিয়ে ওঠার।
হিজিবিজি ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক কিছু যুক্ত করে ছবিতে হিজিবিজি বানিয়ে ফেলবেন না। খেয়াল করলে দেখবেন, জগতের সবচেয়ে সুন্দর ছবিগুলোর বেশির ভাগেরই ব্যাকগ্রাউন্ড খুব সাদামাটা। এতে সাবজেক্টিভ ফটোগ্রাফিতে, বিষয়বস্তুটির ওপর মনোযোগ আকৃষ্ট করা সহজ হয়। তাই ফ্রেমিংয়ের সময় ব্যাকগ্রাউন্ড সাদামাটা রাখুন।
ফ্ল্যাশ ব্যবহারের আগে ভাবুন
ইনডোরে ছবি তোলার সময় অনেকেই কারণে-অকারণে ফ্ল্যাশ ব্যবহার করেন। অথচ জানা কথা, ফ্ল্যাশের ব্যবহার ছবির প্রকৃত লাইটিংকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই বলি, চেষ্টা করুন প্রয়োজনে আইএসও বাড়িয়ে নিয়ে, সাটার স্পিড কমিয়ে, হাত না কাঁপিয়ে অল্প আলোর অধিক ব্যবহারের মাধ্যমে ইনডোরের ছবি তোলার। 
আইএসওর হিসাব-নিকাশ
সঠিক আইএসও বেছে নেওয়ার ব্যাপারটি মূলত পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে ভালোমানের ছবি পেতে আইএসও বাড়িয়ে নিতে পারেন ৪০০ থেকে ৩২০০ নম্বর পর্যন্ত। আবার রৌদ্রকরোজ্জ্বল মুহূর্তে আইএসও সাধারণত ১০০-তে রাখাই শ্রেয়।
সাটার স্পিডের জাদু
ছবির বিষয়বস্তুর সঙ্গে ক্যামেরার সাটার স্পিড নিয়ে নিরীক্ষা করে একই জিনিসের নানামাত্রিক ছবি পেয়ে যেতে পারেন। সুযোগ 
পেলে এমন নিরীক্ষা চালাতে ভুলবেন না। u

আরও পড়ুন

×