‘বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরেছি’

জাতীয় পতাকা হাতে র্যাম্পে হাঁটেন আশা শরীফ
হিল্লোল চৌধুরী
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৪ | ১৩:১০ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ | ১৭:৪২
বাংলাদেশের মেয়ে আশা শরীফ ‘গ্লিম্পস বাই আশা’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ফ্যাশন ডিজাইনার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি একাধিকবার দেশের পতাকা বহন করেছেন। সম্প্রতি আশা দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ৪৪টি দেশের ১৫০ জনেরও বেশি প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ‘বেস্ট ডিপ্লোম্যাট’-এর সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে দেশে ফিরেছেন।
গত ১৭ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুবাইয়ের ডাবল ট্রি হিলটন এম স্কয়ার হোটেলে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে আশা শরীফ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। সম্মেলনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘বেস্ট ডিপ্লোম্যাট’। এটি জাতিসংঘ ও অন্যান্য মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে কূটনৈতিক সিমুলেশন পরিচালনায় বিশেষজ্ঞ। প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য ভবিষ্যৎ কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ ও বিকাশ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ১৮ মে টপিক অনুযায়ী প্রতিটি দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। প্রতিনিধি হিসেবে আশা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ডিজিটাল সংস্থানের সীমিত সুযোগ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৪, ৮, এবং ৯-এর দিকে আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই বিভাজন গ্রামীণ এলাকার শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যবধান পূরণ করতে আমাদের অবশ্যই ডিজিটাল অবকাঠামো সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করতে হবে। সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট ও ডিভাইস সরবরাহ করতে হবে; ডিজিটাল সাক্ষরতা বাড়াতে হবে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণে সহায়তা করতে হবে।’
১৮ মে দুপুরে অংশগ্রহণকারীদের দুবাইয়ের একটি সোসাইটিতে নিয়ে যাওয়া হয়; সেখানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সবাই অংশগ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে আশা বলেন, ‘গাছগুলো বড় হলে তার পাশে আমাদের নাম থাকবে, এই ভাবনা আমাদের ভীষণ অনুপ্রাণিত করে।’
তৃতীয় দিন, ১৯ মে গ্রুপ ডিসকাশন ও অন্যান্য অনুষ্ঠান ছিল। অংশগ্রহণকারীদের ‘সাসটেইনেবিলিটি থ্রো রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন’ গবেষণাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্মেলনের শেষ দিন ২০ মে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ওইদিন পুরস্কার ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। প্রত্যেকে নিজ দেশের সংস্কৃতি প্রদর্শন করেন। সেখানে বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে আশা শরীফ মসলিন শাড়ি পরে র্যাম্পে হেঁটেছেন। আশা নিজেই ওই শাড়ির ডিজাইনার। ১৫০ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৪৪ জন ‘ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং জাতীয় পতাকা হাতে নিজ নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন। আশা বলেন, ‘বাংলাদেশের পতাকা বিদেশের মাটিতে তুলে ধরেছি। আমার জন্য এ অনুভূতি ভীষণ আবেগের ও গর্বের।’
এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং কাজকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা বলে মনে করেন আশা শরীফ। বেস্ট ডিপ্লোম্যাট থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
- বিষয় :
- জাতীয় পতাকা