মাজারে হামলা: প্রতিকার কী?

হযরত শাহজালাল (র.) মাজার, সিলেট -ছবি :: মার্টিন গ্রে
শাহেরীন আরাফাত
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩:১৯ | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১:৪৭
বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক কাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ঘোষণা দিয়ে কেউ কখনও মাজার ভাঙেনি। এবার ঘোষণা দিয়ে আক্রমণ হয়েছে। অনেক জায়গায় একাধিকবার আক্রমণ হয়েছে এবং শাহপরাণে হামলায় একজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। এসব ঘটনার দায়ভার ক্ষমতাসীন সরকারকেই নিতে হবে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব হামলার পেছনে যেমন ধর্মতাত্ত্বিক, দার্শনিক দ্বন্দ্ব-বিতর্ক রয়েছে; তেমনি বিভিন্ন শক্তি নিজেদের স্বার্থে এতে যুক্ত থাকতে পারে। গ্রন্থনা শাহেরীন আরাফাত
‘তারা গরিব মানুষকে আক্রমণ করছে’
ফরহাদ মজহার কবি, দার্শনিক, রাষ্ট্রচিন্তক
মাজারে যে আক্রমণ হয়েছে, এখনও আক্রমণ হওয়ার মতো অবস্থা রয়েছে। তার কারণ হলো গণঅভ্যুত্থানের পরে যেভাবে গণক্ষমতা প্রতিষ্ঠা ও গণরাষ্ট্র গঠনের জন্য সব স্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার কথা ছিল, তাকে অস্বীকার করা হয়েছে। উপদেষ্টা সরকার দুর্বল, সব সিদ্ধান্ত ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। এটা হামলাকারীরা বুঝতে পারছে। তারা রাষ্ট্র ও সমাজকে আরও অস্থিতিশীল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয়ত, মাজার কেন কিংবা কোন অর্থে গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে আমাদের সমাজে কোনো আলোচনা নেই। আত্মার আকুতি প্রকাশের কোনো সাংস্কৃতিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পরিসর আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। ধর্ম বা থিওলজির মর্ম বোঝা বা অধ্যাত্মবাদের কোনো ইহলৌকিক ব্যাখ্যা আমাদের সেক্যুলার বা বুদ্ধিজীবীরা দিতে পারে না। ফকির লালন, খালেক দেওয়ান, আব্দুল হালিম, রাধারমণ, আরকুম শাহসহ বিভিন্ন ফকির, দরবেশ, পীর, মুরশিদের গান শুনলে দেখা যাবে যে, সেখানে ধর্মতত্ত্বের গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক জিজ্ঞাসাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। যে কারণে স্বভাবতই মানুষ এতে আকৃষ্ট হয়। এই তত্ত্বগুলো দাঁড় করানোর মধ্য দিয়ে যে নতুন চিন্তা হাজির হয়, তার সঙ্গে কথিত পরকালবাদীদের একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, বিশেষত যারা ধর্ম বলতে পরকালকেই বোঝে। তারা আক্রমণের শুরুতে গাঁজার কথা বলে, অথবা জমি নিয়ে বা আধিপত্য নিয়ে মারধর কিংবা দানের বাক্স কার কাছে আছে, এসব দ্বন্দ্ব এসে হাজির হয়। এটা বড় কোনো বিষয় ছিল না। তবে এখন এটিকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হচ্ছে। কারণ, রাষ্ট্র এখন খুবই দুর্বল। সেই সঙ্গে মাজার প্রশ্নে রাষ্ট্রের কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যা নেই, রাষ্ট্র কীভাবে মাজার রক্ষা করবে, তা নিয়ে ফৌজদারি ব্যবস্থা ছাড়া পরিষ্কার কোনো বয়ান নেই।
মাজারে গাঁজা খাওয়ার কথা বলা হয়, আরও বিভিন্ন কথা বলা হয়। মাজার নিয়ে সেসব হাদিসের কথা বলা হয়; আমাদের এখানে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইমামকে আমরা দেখিনি, যারা মাজার ভাঙার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বরং তারা বলেছেন মাজার ভাঙার পরপরই তো এদের ধরা উচিত ছিল, গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।
গাঁজা খাওয়ার কথা বলে তারা মাজারে হামলা চালাচ্ছে; কিন্তু ওরা কি বড় বড় হোটেল; যেখানে গাঁজা খাওয়া হয়, ড্রাগস খাওয়া হয়, মদ খাওয়া হয়– সেখানে আক্রমণ করতে পারছে? বড় বড় কনসার্টে যে গাঁজা খায়, সেখানে কী তারা আক্রমণ চালাচ্ছে? এখানে একটা শ্রেণিগত বিষয় রয়েছে। তারা গরিব মানুষকে আক্রমণ করছে।
আমাদের এখানে সাংস্কৃতিকভাবে শিবের একটা শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। শিব তো বিশ্বসৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্য বিষ পান করেছিলেন। বিষের সেই জ্বালা নিবারণের জন্য শিবের কণ্ঠ ঘিরে সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকে। শিবের গাঁজা খাওয়াও অসহ্য জ্বালা প্রশমনের জন্য। পুরাণের এই গল্পের মর্ম অনেক গভীর। ফলে আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে এর বিশেষ মানে রয়েছে। এটাকে শুধু নেশা হিসেবে দেখার উপায় নেই। তাছাড়া আমরা সিগারেট, নিকোটিন বা তামাকের বিরোধিতা দেখছি না।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো– যখন সমাজ অর্থনৈতিকভাবে ন্যায়পরায়ণ হয় না, আর্থসামাজিক সংকট সমাধান করতে পারে না, তখন গরিব মানুষ তাদের জীবনের ইহলৌকিক কোনো সমাধান দেখে না। ইহলৌকিক পরিস্থিতি বাস্তবে বদলানো সম্ভব সেই আস্থা গরিব ও মজলুম হারিয়ে ফেলেন; তখন তারা পরকালবাদী ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছে যায়, যারা পারলৌকিক প্রাপ্তির দিকে ঝুঁকতে বলে, জান্নাতে যাওয়ার কথা বলে। মানুষ কিন্তু এটা খুব সহজেই বিশ্বাস করে। ফলে পরকালবাদী হওয়াকে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে সবার আগে। যে কোনো মানুষ যখন অর্থনৈতিকভাবে সংকটে পড়ে; তখন এটাকে ইহলৌকিকভাবে সমাধানের কোনো উপায় তার কাছে থাকে না। তিনি তখন পারলৌকিক সমাধানের পথ খোঁজেন। সেটা তখন তার কাছে বাস্তবিক মনে হয়। আমাদের সেক্যুলাররা মনে করেন, এসব ইসলামের বা ধর্মীয় ব্যাপার। অথচ এর সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রথমত, এটা অর্থনৈতিক; দ্বিতীয়ত, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব; আর তৃতীয়ত, রাষ্ট্র যখন দুর্বল থাকে, তখন এই দ্বন্দ্বগুলো প্রকট হয়ে ওঠে।
‘সরকার যেন স্থায়ীভাবে মাজার রক্ষার উদ্যোগ নেয়’
সাইমন জাকারিয়া, লোক সংস্কৃতি গবেষক, নাট্যকার
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহুকালের। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে এ যাবৎকাল পর্যন্ত দেশের মানুষ যে ধর্ম, সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে, তাতে উঁচু-নিচু, শিক্ষিত-অশিক্ষিত ভেদাভেদ আছে; কিন্তু প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক, মানসিক কারণে এ দেশের মানুষ কিন্তু সবাইকে ভালোবাসে; সবাইকে ভালোবাসার জন্য আহ্বান করে। তাদের এক মহামিলনের জায়গা মাজার। যেখানে ধর্ম দিয়ে বিভাজন করা হয় না, যদিও সেটা গ্রামীণ সুফিবাদের কেন্দ্র। কিন্তু সেখানে সব ধর্মমতের লোক যেতে পারে এবং সেখানে উঁচু-নিচু, ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত ভেদাভেদ নেই; পাগল-বুদ্ধিজীবীর ভেদাভেদ নেই।
আমাদের দেশের একটা শ্রেণি চায় না যে, মানুষের ভেতর যে প্রেমের চর্চা এতদিন ধরে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে; সেই ধারাটা চলমান থাকুক। তারা নিজেদের জন্য একে হুমকিস্বরূপ মনে করে। তারা বাংলাদেশকে তথাকথিত হীনম্মন্য রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়; যেখানে শুধু একটাই বিশ্বাস থাকবে, একটাই মত থাকবে, একই রকমভাবে মানুষ চলবে, একই রকমভাবে সম্মিলিত হবে; মতের বৈচিত্র্য নিয়ে যে চর্চা হয় সেটা তারা সহ্য করতে পারে না। যদিও বলা হয় বাংলাদেশে ৯৫ ভাগ মুসলিম; কিন্তু তাদের মধ্যে সুফিবাদী বা মারফতি লাইনের কতজন, সেটা বুঝতে হবে। মহানবী (সা.) হেরা গুহায় ছিলেন সেটা ফকির-দরবেশরা বলে থাকে। তিনি মারফত থেকে এসে শরিয়ত তৈরি করেছেন। আমাদের দেশের মারফতি ফকিররা বিশ্বাস করেন, মারফত বাদ দিয়ে আসলে শরিয়তের কাজ হয় না। মারফত বুঝেশুনেই শরিয়তটা করতে হয়, মারফতি জায়গাটা হলো মাজার শরিফ, আখড়া, আশ্রম, দরগা শরিফ–সেখানে সব সময় শুদ্ধচিন্তা, প্রেমের চর্চা হয়। সেখানকার সাঁই মানবতার মন্ত্রে দীক্ষিত, শিষ্যের ভেতরে সেটাই প্রতিষ্ঠিত করেন। যে নামেই ডাকুক, সব মানুষই এক স্রষ্টার সৃষ্টি। আমাদের দেশে শান্তির ধর্ম এসেছে ১০৫৩ সালে নেত্রকোনার মদনে শাহ মুহাম্মদ সুলতান কমরউদ্দিন রুমির (র.) মাধ্যমে। তিনি ওই অঞ্চলে মারফতি ঘরানার ইসলাম চর্চা করেন। এ ধারাটাই বাংলাদেশে শক্তিশালী।
যারা এখন ক্ষমতায় আছে, দায়দায়িত্ব তাদের নিতে হবে। তারা জানে কোন কোন জায়গায় আঘাত আসতে পারে। তারা যদি আগে থেকে ঘোষণা দিত যে, মাজার কিংবা ধর্মীয় কোনো জায়গায় আঘাত করা যাবে না, তাহলে কিন্তু এমনটা হতো না। প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দেওয়ার পরই কিন্তু মাজার ভাঙা কমে এসেছে। তিনি যদি প্রথম থেকেই বলতেন যে, এটা আমাদের ঐতিহ্য, এটা আমাদের জাতিগত পরিচয়ের জায়গা; তাহলে কিন্তু এটা হতো না।
শাহপরাণ মাজারে যে ছেলেটা মারা গেল, তার মরদেহ নেওয়ার মতো পৃথিবীতে কেউ নেই। তার মানে ছিন্নমূল মানুষ আশ্রয় নেয় মাজারে। মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জায়গা তো আমরা তৈরি করিনি। শাহপরাণ, শাহ আলী বা শাহজালাল মাজারে শত শত ছিন্নমূল মানুষ দেখা যায়; যাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে শাহ আলীর মাজারে ঘুরেছি। এত মানুষ; কিন্তু কোনোদিন কারও গায়ের সঙ্গে স্পর্শ পর্যন্ত লাগে না, এটা তো অন্য কোথাও হয় না। মাজারের জায়গাটা কতটা পবিত্র, যারা মাজারে ধ্যান করে, তারা কতটা পবিত্র! সেখানে নারীদের কেউ কোনো হেনস্তা করে না। আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে এই মাজারকেন্দ্রিক। যখন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, তখন মাজারগুলোই মানুষকে সঠিক পথে নির্দেশনা দিয়েছে। মাজার মানুষকে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে, ধর্মীয় শিক্ষাও দিয়েছে।
আমি দাবি জানাই, সরকার যেন স্থায়ীভাবে মাজার রক্ষার উদ্যোগ নেয়। মাজারের নিরাপত্তার জন্য উদ্যোগ নেয়। যেন ভবিষ্যতে কোনো মাজার এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আরেকটা দাবি হলো– যত মাজার ভাঙা হয়েছে, তার তালিকা আমরা করছি। পত্রিকা বা টেলিভিশনে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে করা তালিকা অনুযায়ী, অর্ধশতাধিক মাজার ভাঙা হয়েছে। এর সঙ্গে অনেক ছিন্নমূল মানুষ বিতাড়িত হয়েছেন, যাদের খাবার, থাকার জায়গা নেই। একজন পাগল বলেছিল, এখানে আসি; এখানে এলে তিন বেলা খাবার পাই। সেজন্য পাগলরা ওখানে যায়, ওখানে থাকে। যতগুলো মাজার ধ্বংস করা হয়েছে সেগুলো অবিলম্বে আগের রূপে ফিরিয়ে আনা, যেসব ছিন্নমূল মানুষ বিতাড়িত হয়েছেন, তাদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমরা দেখছি, বায়তুল মোকাররমে হামলা, পাহাড়ে বিভিন্ন নির্যাতন-নিপীড়নের চিত্রও দেখছি। এসব থেকে নিরাপত্তা পেতে হলে মাজারগুলোকে নিরাপত্তা দিতে হবে। যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন মাজার ভূমিকা রাখবে মানুষকে সঠিক পথে আনার জন্য।
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চ্যালেঞ্জ’
শিরীন হক, সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী, নারীপক্ষ
মাত্র দেড় মাস আগে দেশে একটা গণঅভ্যুত্থান হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এসে যেখানে সবার কাছে দেশ গড়ার কথা সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাবে, সেখানে আমরা দেখছি একের পর এক মাজার ভাঙা হচ্ছে। শুধু মাজার ভাঙা হচ্ছে না, পাহাড়ে আক্রমণ হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে মানুষ মারা হচ্ছে, যৌনকর্মীদের জনসমক্ষে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। এগুলো খুবই বিব্রতকর ও কষ্টদায়ক। এ সময়ে এসে এগুলো কেন হবে, সবারই একই প্রশ্ন। এগুলো কী সংগঠিত প্রতিক্রিয়ার অংশ নাকি আমরা আসলে মানুষ হইনি, সভ্য হইনি! আমরা একটা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছি বটে কিন্তু আমরা হয়তো সভ্য হতে শিখিনি।
যদি এগুলো কোনো সংগঠিত প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে, তবে ভয় ও শঙ্কার কারণ রয়েছে। আমাদের ভুললে চলবে না যে, ছাত্রলীগ-যুবলীগ এরা কেউ নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়নি। এরা তো আছে, চলে যায়নি। তারা নানাভাবে এই অভ্যুত্থানের সফলতা নস্যাৎ করার জন্য তৎপর থাকবেই। সুতরাং সেটা ভুললে হবে না, এরা পরাজিত শক্তি; কিন্তু হারিয়ে যায়নি, তারা তৎপর রয়েছে।
সামাজিক পরিসরে বিভক্তি বাড়ার পেছনে এদের সমর্থন থাকতে পারে। এসব হামলা তাদের স্বার্থই হাসিল করছে। এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে নানাভাবে বিব্রত করা, নিষ্প্রভ প্রমাণ করা তো একটা গোষ্ঠীর পক্ষে যাচ্ছে। সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের শক্তিশালী ভূমিকা দরকার। অনেক জায়গায় সেনাবাহিনী থাকা সত্ত্বেও এগুলো ঘটছে। ঢাকা শহরে সেনাসদস্যদের ফুল দেওয়া হয়েছে, সেই সেনাবাহিনী কিন্তু পাহাড়ে গোলাগুলি করল।
এগুলো সবই দুশ্চিন্তার বিষয়। পাহাড়-সমতলে তো আলাদা আইনকানুন চলতে পারে না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন তো সব ধরেনর বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছিল।
সে কারণে অন্তর্বর্তী সরকারকে এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। বন্যা, পাহাড়, মাজার, যৌনকর্মীদের বেঁচে থাকার অধিকার এগুলো সবই তো চ্যালেঞ্জ, তারা কতটা সামাল দিতে পারে সেটার ওপর নির্ভর করবে সফলতা।
এ ক্ষেত্রে সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত সহজ নয়। মনে হয় ঐক্য হয়েছে, আসলে তো হয়নি। এটার জন্য ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়া লাগবে, সেগুলো এখনও দৃশ্যমান নয়।
- বিষয় :
- মাজারে হামলা
- মাজার