এবার কি নেইমারকে পুরো মৌসুম পাওয়া যাবে

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
পিএসজিতে ছয় মৌসুম হয়ে গেল নেইমারের, কিন্তু কোনোবারই চোট এড়াতে পারেননি তিনি। প্রতিবারই কোনো না কোনো ইনজুরি তাঁর পিছু নেয়। তাতে ছয় মৌসুমের প্রতিবারই পুরোটা সময় তাঁকে খেলাতে পারেনি ফরাসি ক্লাবটি। সর্বশেষ ২০২২-২৩ মৌসুমেও ১৩৯ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন চোটজনিত কারণে। ১২ আগস্ট থেকে শুরু লিগ ওয়ানের নতুন মৌসুম। তার আগে পিএসজির অনুশীলনে ফিরেছেন নেইমার। কিন্তু তাঁকে দেখার পর সমর্থকরা যতটা না খুশি হয়েছেন, ততটা শঙ্কায়ও এই ভেবে, যদি আবার চোটে পড়েন! পায়ের গোড়ালির ইনজুরিটাই বারবার তাঁকে যন্ত্রণা দিচ্ছে।
বার্সা ছেড়ে আসার পর ২০১৭-১৮ মৌসুমে ডান পায়ের মেটাটারসালে চিড় ধরেছিল নেইমারের। যেটা তাঁর ক্যারিয়ারের জন্য বড় এক দুঃসংবাদ বয়ে আনে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে অবধি মোট ৯০ দিন তাঁকে মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছিল। সেই যে চোট তাঁকে চিনল। এর পর নিয়মিতই ব্যথায় ভোগেন নেইমার। ২০১৮-১৯ মৌসুমে সেই পায়ে আরও বড় আঘাত পান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে যেতে হয় অপারেশনের টেবিলে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল অবধি চোট পরিচর্যায় সময় দিতে হয় নেইমারকে। এর পর মাঠে নামতে না নামতে আবার ইনজুরি হানা দেয় নেইমারের ঘরে। গোড়ালির লিগামেন্টে ক্ষত দেখা দেওয়ায় ৬৩ দিনের মতো ছিটকে যান নেইমার।
বারবার চোটে পড়ায় ফিটনেস সমস্যাও প্রকট হয়ে ওঠে। ২০১৯-২০ মৌসুমে ফিটনেস ঠিক না থাকার কারণে মাসখানেক মাঠে নামা হয়নি তাঁর। এর মধ্যে গত কয়েক মৌসুমে চোটের সমস্যার সঙ্গে মাঠের পারফরম্যান্সেও ভাটার টান দেখা যায়। যে কারণে তাঁকে বেচতে উঠেপড়ে লাগে পিএসজি। সব শেষ লিওনেল মেসি প্যারিস থেকে ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। গত ক’দিনে তাঁর বার্সায় ফেরার যে গুঞ্জন ছিল, সেটাও এখন নেই। কাতালানদের পক্ষ থেকে এমন গুঞ্জন উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এমবাপ্পের সঙ্গে পিএসজির সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তারা নেইমারকে বিক্রির ইস্যুটিতে কম গুরুত্বের তালিকায় রেখেছেন। তাই নতুন মৌসুমে তাঁকে পিএসজির জার্সিতেই দেখা যাবে।
এবারও তাঁকে নিয়ে শঙ্কা গোড়ালির সমস্যাটা তাঁর বেশ পুরোনো। পিএসজিতে আসার পর ২০১৭-১৮ মৌসুমে মেটাটারসালে চিড় ধরেছিল। এরপর থেকে আর স্বস্তি নেই। প্রতি মৌসুমেই তিনি গোড়ালিতে চোট পাচ্ছেন। গত মৌসুমেও সেখানে চোট পান। এবারও তাই সেই শঙ্কা। তা ছাড়া প্রতিপক্ষও ভালো করে জানে বিষয়টি। সেজন্য সতর্ক হয়ে না খেললে তাকে আবার ভুগতে হতে পারে।