ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

১০ বছরের জন্য এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফের

১০ বছরের জন্য এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফের

ছবি- সংগৃহীত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২:৩৩

ঘরোয়া ফুটবলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আসর; চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এর সবই অনুষ্ঠিত হতো। নানা কারণে কয়েক বছর বন্দরনগরীর এই স্টেডিয়ামে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্টেডিয়াম থাকলেও সংস্কারের অভাবে সেগুলোর অবস্থা বেহাল। সংস্কারের কারণে চার বছর ধরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে না। মাঠ সংকটের কারণে ঘরোয়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। তবে আশার কথা শুনিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

আগামী ১০ বছরের জন্য চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল নিশ্চিত করেছেন তিনি। শনিবার পল্টনের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে সানরাইজ-ইউনেক্স আন্তর্জাতিক সিরিজ ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসা আসিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাফুফেকে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ১০ বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে সংস্কারকাজ করে ফুটবল শুরু হতে পারে। এই স্টেডিয়ামের (বঙ্গবন্ধু) কাজ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা আমাকে জানানো হয়েছিল। জানুয়ারি থেকে এখানেও খেলা শুরু করতে পারে।’

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা লিস্টার সিটির তারকা হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পেয়েছেন। বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য বড় বিজ্ঞাপন এখন হামজা। দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মতো ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও হামজাকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তাঁর মতে, হামজার মাধ্যমে বদলে যাবে দেশের ফুটবলের চেহারা, ‘বাফুফেকে ধন্যবাদ, তারা বেশ কিছুদিন ধরেই হামজার বিষয়ে ফিফার সঙ্গে কাজ করছিল। হামজা আসায় আমাদের পারফরম্যান্স সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো হবে। তিনি আসায় আমি আশা করি, বাংলাদেশের ফুটবল বদলাবে। তাঁর মাধ্যমে একটা শুরু হলো। বাংলাদেশের অনেকেই যারা বিভিন্ন ক্লাবে খেলেন, হামজা চৌধুরীর বিষয়টি সবার মধ্যে বাংলাদেশের হয়ে খেলার আশা সঞ্চার করবে।’ 

হামজার ইস্যুর বাইরে আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আসিফ। তার মধ্যে অন্যতম হলো কাবাডি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ঘিরে বিতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা হওয়ার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একটি তদন্ত কমিটিও করেছিল। কিন্তু সেই তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এটা আমি যতদূর জানতে পেরেছি, একটা মিসকমিউনিকেশন ছিল। সে কারণে একটি ভুল হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে বোধ হয় ওটা প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন

×