ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

‘টু-টায়ার’ টেস্ট কাঠামোর পক্ষে-বিপক্ষে যারা

‘টু-টায়ার’ টেস্ট কাঠামোর পক্ষে-বিপক্ষে যারা

ছবি: ফাইল

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬:৫৫ | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬:৫৮

বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় দুঃসংবাদই বলা যায়। আবার টেস্ট ক্রিকেটকে দুই স্তরে ভাগ করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালেও এমন প্রস্তাব উঠেছিল আইসিসির সভায়। তখন ভারত এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিল বলে পাস হয়নি। এবার ভারতই এই প্রস্তাব তুলছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড; এ তিন মোড়ল নিজেদের মধ্যে আরও বেশি টেস্ট খেলতে চায়।

বাংলাদেশের বড় ক্ষতি: এমনিতেই বড় দলগুলোর বিপক্ষে উপেক্ষার শিকার বাংলাদেশ। পাঁচ বছর পর গত বছর তারা ভারতে গিয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে। গত ২০ বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলেনি বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডে খেলা হয়নি ২০১০ সালের পর। বড় দলগুলো বাংলাদেশ সফরেও আসে না খুব একটা। দ্বিস্তর বাস্তবায়িত হলে সেটা আরও কমে যাবে। এটাকে অনেকে টেস্টের মৃত্যু হিসেবেও দেখছেন।

দ্বিস্তরের পক্ষে: বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় দ্বিস্তরের পক্ষে মতামত তুলে ধরেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী। দ্বিস্তর প্রতিষ্ঠায় তিনি মরিয়া, ‘টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে হলে, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে হলে এটা করতেই হবে। বড় দলগুলো নিয়মিত পরস্পরের মুখোমুখি হলে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাও বাড়বে।’ সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনেরও একই অভিমত, টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে হলে দ্বিস্তর চালুর বিকল্প নেই বলেও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন তিনি।

দ্বিস্তরের বিপক্ষে” এই খবর শুনে ভীষণ হতাশা প্রকাশ করেছেন উইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। দুটি বিশ্বকাপজয়ী এ অধিনায়কের মতে, এই ‘বাজে প্রস্তাব’ নিয়ে এখনই আলোচনা বন্ধ করা উচিত। ৮০ বছর বয়সী লয়েড বলেন, ‘আমার মনে হয় না দুই স্তরের কাঠামো বাস্তবায়িত হবে। এই খবর শুনে আমি খুবই বিরক্ত। এখনই এটাকে থামানো উচিত। এখানে তো ৩০-৪০টি দল নেই, মাত্র ১০টি (আসলে ১২টি) দল টেস্ট খেলে। আমাদের এমন কাঠামো থাকা উচিত, যেখানে সবাই নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবে।’ সাময়িক আর্থিক লাভালাভের জন্য টেস্ট ক্রিকেটের গণ্ডিটা ছোট করে আনলে আদতে ক্রিকেটের ক্ষতি হবে বলেও মনে করছেন তিনি।

অর্থের হাতছানি: বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের পাঁচ টেস্টে গ্যালারিতে ৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৯ দর্শক ছিল। ফক্স ক্রিকেটের ভাষ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েক বছরের হিসাবে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ ও অ্যাশেজ থেকেই সবচেয়ে বেশি অর্থ আয় করেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের ক্রিকেট বাজার তো আরও বিশাল। টেস্ট ক্রিকেট ঘিরেও সেখানে থাকে উন্মাদনা। এ সুযোগটি নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের সমর্থন: বড় দলগুলোর খেলায় টিভিতে বেশি দর্শক পাওয়া যায়। যে কারণে তাদের লাভ বেশি হয়। তাই দ্বিস্তরের টেস্ট কাঠামোর পক্ষে বড় ভূমিকা সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানগুলোর। ভারতের সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ডিজনি স্টারের এক কর্তা জানিয়েছেন, বড় দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচ হলে তাদের আয় বাড়ে। অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ফক্সটেল ও সেভেনের অভিমতও একই। বড় দলগুলোর বিপক্ষে যত বেশি ম্যাচ, তাদের আয় তত বেশি। 

আরও পড়ুন

×